চিন্তার কি কোন রঙ আছে,আছে কি?
যেমন- নীল, লাল, সবুজাভ হলুদ। এই ধরুন সকালের রঙ, দুইপ্রহরের রঙ, রাস্তার রঙ অথবা ভুলের সাথে কড়ায়গণ্ডায় হিসেবের রঙ!
জানি তুমি আসবেই সাথে কিছু স্বপ্ন নিয়ে যেখানে হয়তো রঙের ছিটেফোঁটা থাকে...! ত্রস্ত হয়ে যাচ্ছি ভীষণ। একটু নেশা প্রয়োজন, বুদ হতে চাই। কল্পনার জাহাজে অবিনশ্বর তুমি শুধু। তারপর জিজ্ঞাসা...
:এখন কি শুধুই প্রশ্ন করবে?
:এটা কেমন প্রশ্ন?
:না মানে না মানে......
:আমাকে নাকি নেশাকে?
:নেশা আবার কে?
:তুমি প্রশ্ন কেন করো?
:আচ্ছা ঠিকাছে
:খেয়েছো?
:সবেমাত্র। তুমি?
:জানানোর আগ্রহ নেই, বিগ্রহও নেই
:কি আছে?
:প্রশ্ন, আচ্ছা দক্ষিণ দিকের আকাশটা কেমন লাগে?
:উত্তর দিকের মতো
:মানে দুজনেই এক?
:তুমিই তো মাঝেমধ্যে অস্বীকার করো!
:দক্ষিণ আকাশটা আমি প্রতিদিনই দেখি। কিন্তু, কলরব থাকেনা! বিদ্যুতের খুঁটিতে শুধু কাক বসে থাকে।
:তাই হয়তো। মুক্ত কাক নিয়ে একটা রম্যগল্প লিখেছে। পড়েছো?
:না, পরে দিও।
:আচ্ছা। প্রশ্ন শেষ?
:প্রশ্ন কি কখনো শেষ হয়! তোমার কি কমন সেন্স নেই?
:না, তবে রিক্সা দেখলে আরোও থাকেনা।
:কেন?
:রিক্সায় তো দুজনের স্থান! তিনজন কি করে হয়?
:হয় একজন উপরে
:আমি!
:ভেবে দেখতে হবে, আপাতত জানিনা।
:বেশ ভালো, জানলেই সমস্যা প্রবলেম আরোও কত কি!
:এতো কথা বলো কেন?
:কই বললাম! আমি তো রোহিঙ্গা......
:কি! কি! রোহিঙ্গা! কি রোহিঙ্গা! কি হইছে?
:দেখছি।
:কিহ!
:রোহিঙ্গা, কিন্তু তাদের আরোও পরিচয় আছে।
:কি?
:আমি! আমি তাদের পরিচয়!
:তুমি মানে?
:বাঙালি... তারা বাংলায় কথা বলে!
:ভালো, আচ্ছা আমাকে মিথিলারাজ্য বলো কেন?
:কোন মিথিলারাজ্য!
:আজব! আমাকে আমাকে!
:ও হ্যাঁ, এখনই বলতে হবে!
:হ্যাঁ, এখনই।
:আমাদের বাসার দক্ষিণে মিথিলারাজ্য, মিথিলারাজ্য একটা রাজ্য, এটা দেখতে খুব সুন্দর, সেখানে মিথানল থাকে......... এএএএ এ... ভুলে গেছি!
:তুমি দেখছি কিচ্ছু মনে রাখতে পারোনা!
:কিভাবে পারবো বলো?
:কিভাবে!
:মনে থাকেই। অনেক গভীরে। প্রতিনিয়ত আমার স্ব-মিথিলারাজ্য ক্রন্দন করে, আমার স্বত্বা কে কাঁদায়। ভাবতে ভাবতে বিলক্ষণ হয়, মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষে আর্তনাদ করি। ছুটে যাই দেখতে কিন্তু! আর বেশিদূর এগোতে পারিনা। নিজেকে কুঁকড়ে ফেলি, গুটিয়ে যাই। যদি আবার দূরে যাও! ভয় লাগে। শুধু হাত ছুঁয়ে ফিরিয়ে দিই। তাই ভেবেছি কথাগুলি জমা হোক পত্রাকারে। একসময় ঠিকিই পাবে, বুঝবে এবং শুনবে। চেষ্টা করি এসবের বাইরের দুনিয়ায় ঘুরে আসতে। আবার একাকীত্ব চেপে ধরে। শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। সেন্টিমেন্ট আঘাত করে। বিক্ষত হই, মৃত হয়ে যাই। সব বিবেক শুষে খায় স্নায়ুকোষ। তাই রেগে যাই। বিরক্ত হই নিজের উপর। জ্ঞানশূন্য মাথায় ধোঁয়া ভাষে। গ্রীষ্মকালেও মুখ দিয়ে ধোঁয়া বের হয়। কপাল বেঁয়ে শীতকালের বৃষ্টি নেমে আসে। রাত আরোও গভীর......
:থামবে!
:কেন?
:কিছুনা। আমি যাই ঘুমাবো।
:এখনি!
:শুভরাত্রি
(তারপর অব্যক্ত কথাগুলি থেকে যায়, বেরিয়ে আসে ভুল আর সংশোধনের যায়গা...)