মানুষের জীবনে সম্পর্ক ওঠানামা করে l সম্পর্কের চরিত্র মনের বিভিন্ন অবস্থার জন্য দায়ী l কবি শমশের সৈয়দ "ক্ষণিকের অনুভূতি" অনুকবিতায় প্রিয়তমার সঙ্গে বিরাগ ও অনুরাগের যে প্রভাব মনের ওপর পড়ে তার একটি লেখচিত্র অঙ্কন করেছেন l
মানুষের বেঁচে থাকার আনন্দ আসে তার সুখানুভূতি থেকে l সুখের এই অনুভব আসে তার জীবনযাপন থেকে l এক একটি মুহূর্ত, সেই মুহূর্তে ঘটমান কিছু ঘটনা, প্রিয়জনের সঙ্গে কিছু বাক্যালাপ, যেন অকস্মাৎ বেঁচে থাকার অর্থ পরিবর্তন করে দেয় l যদি কখনো প্রিয়জনের সঙ্গে কোনো কারণে মনোমালিন্য হয়, বিচ্ছেদ হয়ে যায়, মন ভারাক্রান্ত হয়ে থাকে বহুদিন l উত্তেজনার মুহূর্তে ক্রোধের বশে হয়তো তাকে কিছু উচ্চবাচ্য করা হয়েছে l তার প্রতিটি শব্দের জন্য মনে অনুশোচনা হয় l মন খারাপ হয়ে যায় l জীবন বর্ণহীন, অসহনীয় হয়ে পড়ে l
কিন্তু মানুষের মনের আনন্দবোধ তাত্ক্ষণিক ঘটনার ওপর বেশি নির্ভরশীল l অনেক অনেক দিন পরেও যখন সেই প্রিয়ার সঙ্গে ফোনে কথা হয়, অতীত ঘটনার স্মৃতি ভুলে গিয়ে মনের উচ্ছাসে দুটি মন কথা বলে, ভালোবাসার কথা, ক্ষণিকের মধ্যেই  বুকের ভেতর থেকে ভারী পাথরটা নেমে যায় l হাসির ফোয়ারা মন খারাপের মুহূর্তগুলিকে ভাসিয়ে, উড়িয়ে নিয়ে যায় l অন্তর্লীন ভালোবাসা শুধু কিছু অপ্রিয়কথনে শেষ হয়ে যায় না l শুধু একটি মুহূর্তের অপেক্ষা থাকে l ভালবাসাময় দুটি মন সব রাগ অভিমান ভুলে গিয়ে পরস্পরের কাছে নিজেদের মেলে ধরে l মরা গাঙে যেন জোয়ার এসে যায় l হাসি, আনন্দ জীবনকে বর্ণময়, অর্থপূর্ণ করে তোলে l


ছোট্ট সুন্দর কবিতার জন্য কবিকে জানাই শুভকামনা !!