বৈশাখী রুপ বাংলার
জামাল উদ্দিন জীবন


রংধনু উঠে দূর দিগন্তে ছড়িয়ে কত রং
রঙিন ঘুড়ি উড়ে নীল আকাশে রংবেরং
বাতাসে বয়ে আসে কতোযে সুঘ্রান চারিদিকে
বৈশাখে নানান রঙের রুপ প্রকৃতিতে হাসে।


নাচছে সবাই প্রাণ খুলে প্রাণেরী টানেতে প্রাণ
ফুলে ফুলে রঙিন বাগান সাঁজানো বাড়িতে
পিঠা পার্বনের পড়েছে ধুম সারাদিন পাড়াতে
খুশিতে ভরা মন প্রাণ আনন্দের নব ধ্বনিতে।


নববর্ষের রঙিন আগমনে নামে পল্লীর মাটিতে
নেচে উঠি আনন্দে নাচে গানে আপন মনেতে
আনন্দ উৎসবে বৈশাখী মেলা পড়ে আঁখিতে
বেলুন মুখোশ আর মাটির পুতুল খেলা পাটিতে।


আকাশ কালো কাল বৈশাখী ঝড় চারিধারে বয়
নৌকা ঘরবাড়ী হাওয়ায় নড়ে চড়ে মনে লাগে ভয়
হায় হায় করি কি উপায় এখন বাঁচার কি উপায়
বৃষ্টির দিনে নদীর পাড়ে কাটছে বেলা মাছ ধরে।


বৈশাখের হাওয়ার টানে ঘুড়ি উড়ে দূর আকাশ পানে
সাজছে সবাই আবার নতুন রঙে বৈশাখের নতুন দিনে
পুরাতন স্মৃতি-জরা-গ্লানি পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে চলা
সবুজের আহবানে বৈশাখী নতুনের সাথে হাত ধরে চলতে।


নতুন আশা নতুন প্রেরণা, বৈশাখী সম্ভাবনায় দুয়ার খুলে
ধরাতে আসিয়াছে স্বমহিমায় পুলকে পুলকে ভুলাতে মোরে
চৈাচির জমিন খাঁ খাঁ তার বুক কৃষকের হাসি ম্লান আজ
আবার মুখে ফুটিল সোনার  হাসির বান বৈশাখের ঝড়ে।