ফাল্গুন ধরাতে আসিয়াছে আজিরে
জামাল উদ্দিন জীবন


বসন্তের আগমন আজি কোকিলের কুহু কুহু তানে
ভ্রমর করে গু্ঞ্জন প্রকৃতি সেজেছে আজ রঙিন সাঁজে
ফুল ফুটেছে ফুলবনে পাখিদের কলতানে মুখরিত
পৃথিবীর চারিধার স্বগৌরবে মেতেছে নব আনন্দে।


ফাল্গুনী গীত বাজে হৃদয়ের বীণাতে আমারি সখি
বাজেরে রুমঝুম বাজে পায়েল সখিদের পায়েতে
খোঁপায় গুজিয়া হলুদ গাঁদার ফুল নব নব সাঁজে
আজ গৃহ হতে হয়ে বাহির খোলা আকাশের মাঝে।


প্রিয় জনের সাথে আনন্দ ঘন মূর্হুত দিব পারি
মনেরি মন্দিরে ফুঁটেছে প্রেমেরি ফুল কলি আমার
তুমি সাথী হবে চিরদিনের দিব জীবনটা উপহার
যৌবনে নতুনের স্বাদ জাগে মনে মধুর মৌবনে সখা।


গাছে,গাছে মুকুলের ঘ্রাণ সজীবতা আসে প্রকৃতিতে
নব নব সাঁজে আজ সেঁজেছে গাছ পালা তরু লতাগুলি
আনমনে গগনে বসন্ত লেগেছে ভুবনে প্রাণের টানে বাঁধা প্রাণ
বলি হৃদয়ের কথা একা নিরবে চন্দ্র তারাদের সনে বন্ধু নাইরে।


বনে ফুল ফোঁটে বাগানে প্রজাপতিরাও নাচে ফুলের সনে আজ
মধু আহরনে ভ্রমরা অলি কুল হয়ে আছে ব্যাকুল দলবেঁধে বনে
দখিনা পাগলা হাওয়ায় সৌরভ আসে ভেসে মন মাতিয়ে দিয়ে যায়
কৃঁষ্ণচূড়ার বনে লেগেছে আগুন সব ডাল সেজে হয়েছে লাল শিমুলের ফুল।


রমনীরা যৌবনে ফুলমধু মৌবনে আলতা সিঁদুর মাখে গাঁদা ফুল বাসন্তীর গায়ে
হলুদ সাজায় সুরভি ছড়ায় গুঞ্জণে রাখালের বাঁশরী বাঁজেরে বসন্তের সাঁজেরে
চঞ্চলা হরিণীর ন্যায় কিশোরিরা গাঁয়ে উঁকিঝুঁকি মারে ঋতুরাজ বসন্তের ছোঁয়ায়
বসন্তের হাওয়ায় গাই প্রাণ খুলে বসন্তের গান ফাল্গুন ধরাতে আসিয়াছেআজিরে।