নির্ঘুম রজনী
জামাল উদ্দিন জীবন


মধ্য রজনী আমি একা জোছনায় দাড়িয়ে আছি
আমাদের চির চেনা সেই নিদ্রা হীন পুষ্পের বনে
কিসের ভয় সাথী হয়ে তুমি ছিলে আমার পাশে
আজ একা দাড়িয়ে নির্জনে ভাবি তুমি নেই সাথে।


সখি তোমার প্রাণে প্রাণ বাঁধিয়া মোরা সুরে সুরে
প্রেমের গান করি দিবসে নিশিতে সারা বেল ধরি
পূর্ণিমার রাতে তোমার আপন হাতে পুষ্পের মালা
পরিয়ে দিলে গলাতে শিহরন জেগেছে হৃদয় মনে।


স্নিগ্ধ আলো লেগেছে মনে দোলা দিয়ে যায় জোনাকি
হেথা অন্তর মাঝে সুখের পরশ অনুভূত হয় পলে পলে
ক্ষণে ক্ষণে বাজে প্রেমের মুরালি একবার দেখা দিবে কি?
দেখে চন্দ্র মুখ খানি শিহরিত হবে ভুবনে অপলক নয়নে।

চাতকের মতো চেয়ে চেয়ে থাকি বন্ধ হয়না যুগল আঁখি
মিলন তিথিতে ভালোবাসা পেয়ে গড়েছি মোরা স্বপ্নের নীড়
মেতেছি প্রণয়ের খেলায় আলিঙ্গনে জড়িয়ে তোমার বাহুতে
প্রিয়া তোমার প্রিয় বকুল,বেলি,জুঁই,গোলাপের মালা হাতে।


আমি একাই দাড়িয়ে তোমার অপেক্ষায় পুষ্প বনে অবিরত
জানি না কোন অপরাধে তোমার বিয়োগ ব্যথা হিয়ার মাঝে
বিরহে বুকের ভিতরে চিতার অনল সর্বদা কাষ্ঠ ছাড়াই জলে
এ অনল নেভা না কেঁদে কেঁদে বুক ভাসিয়ে দেয় বড় অসহায়।


স্মরণ করো বেদনার নীল রঙের শাড়ি আজও অঙ্গতে জড়িয়ে
বিরহ অন্তরে পোড়া মন কাঁদে আঁখি জলে ভাসে বুকের জমিন
বলেছিলে আমায় নয় রাখিলে মনে ভালোবাসা টুক রাখিও অন্তরে
লিখেছিলে ভুলে যেও  মোরে বিদায় বেলার গান টুক ভুলো না।


ভালোবাসার আভা টুকু কেড়ে নিয়ে বেদনার নীল বর্ণে সাজালে
বিরহী প্রলয় ঝড় উঠেছে হৃদয় অববাহিকায় অতলে ডুবে মরিব
বিদায় লগ্নে নীল খামে রাখা চিরকুট আর বকুলের মালা দিয়ে গেলে
সাথী হয়ে আসবে কি ফিরে,কোন এক নির্ঘুম রজনীতে মোর পাশে।