সুবচনা
তোমার সাথে মেঘলুপ্ত রোদ্দুর দেখার ইচ্ছে
আমার বহুদিনের।
তোমায় প্রথম দেখার দিন থেকে সে কি
গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করেছি
কিছু একান্ত সময়ের।
অপার্থিব নিস্তব্ধ কিছু সময়।
আজো পাইনি।
রোজ তোমার আসা যাওয়ার পথে,
কলেজ ক্যান্টিনে,লাইব্রেরি,করিডোর,
রোদ ঝলসানো ঘাসের মাঠে আরও কত না জায়গায়,
কতো শত বার দেখা হয়েছে তোমার সাথে
তবু নিঃসঙ্গ তোমায় খুঁজে পাইনি,
তোমার চারপাশে যে বন্ধুরা আঠার মতো লেগে থাকে
বড্ড হিংসে হয় তাঁদের দেখে ,
রাগে অন্ধ হই মাঝে মাঝে ।
কি নির্দ্বিধায় আমার আশার সলতেয়
লোনা পানি ঢালে তারা।
আর তুমি
ঠোঁটের কোনে এক চিলতে হাসি নিয়ে
নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকো।
কি করে পারো বলতো ?
সেদিন শেষ বিকেলে
বিষাদ ভরা মন নিয়ে যখন ফিরছিলাম
ফাগুন উৎসব শেষে।
হঠাৎ সামনে এসে দাঁড়ালে।
এটা সেটা কতো কথা বলছিলে সেদিন।
আর আমি কি বোকা দেখ
পরশ পাথরে লোহা কখন সোনালী হয়েছে
বুঝতেই পারিনি।
রাজ্যের যতো এঁটো কাজের দোহাই দিয়ে
চলে এসেছিলাম।
অথচ
সেদিনও মেঘ ছিল,
রোদ ছিল,
আলোছায়ায় রহস্য ছিল,আর
অপার্থিব নিস্তব্ধতায়
তুমি ছিলে সময় অন্তরালে।


সুবচনা
আবার প্রতীক্ষায় আমি
তোমার সাথে মেঘলুপ্ত রোদ্দুর দেখার ইচ্ছে
যে আমার বহুদিনের।