কবিতা:- অমৃত বাসর
--রমেন মজুমদার


এইতো বিধির নিয়ম মোহের ছড়ানো জাল!
কতপথ, কতদিকে গিয়েছে বেঁকে;
বলে দাও; হে প্রভু তুমি!
সত্য -মিথ্যা,বিশ্বাস-অবিশ্বাস জীবনের ফাঁদে;-
জড়ায়ে রয়েছি কাল হতে কালান্তরের পথে,
অমোঘ এ'প্রবঞ্চনার জাল! তবু তার করেছ
নিখুঁত সমাধান;-
সংসার,জীবন,কর্মপরিধির মাঝে...
লয়েছ টেনে এক এক করে জীবন থেকে জীবনে।
তারপর, তব আলোকিত ধারায় অসীমের পথ
দিয়েছ বিছায়ে মানবের তরে;
চিরস্বচ্ছ ,চিরউজ্জ্বল; অলক্ষ্যে আমারে,
বাহির করিলে একটি শুদ্ধ গর্ভকুটিরে;
এ'কোন খেলা তুমি খেলিছ বসে!
জন্ম-মৃত্যু হতে মৃত্যঞ্জয়ের পথে টেনে নাও।
বিলম্ব হোক তবে আরও কিছু সময়
অন্তরে কুটিল রজ্জু বাঁধিলে রোগ শয্যায়...
সত্যেরে খুঁজে নেই কোথা ?
এ'তোমার আলোকে নম্র রশ্মির স্নেহে
করেছ বুঝি বিধৌত আমারে ।


আজ শেষ প্রহরে বসে ভেবেছি তোমার কথা,
দাও তবে নিয়তির দুরূহ সত্যের পুরস্কার!
একটি অদৃশ্য সুতোর বাঁধনে আমায় টেনে নাও প্রভু!
পাপ-পুণ্যের অদৃশ্য ভাণ্ডারে
রেখে দিও চিরকাল অনায়াসে মোরে,
এক পল অক্ষয়, সমঅধিকরে;
যার কোন নেই ক্ষয়, নেই বার্তা;
অশ্রু ফেলার, সেই বিদায়ের ক্ষণে।
চিরসুখ! চিরশান্তি হোক মানুষের তরে।


ওগো, প্রাণের কবিগুরু তুমি;
পারনি তোমার শেষ কবিতার অমূল্য নাম দিতে
একখানি মাতৃস্নেহের পবিত্র দলিলে
চিরন্তনের চির সম্পাদন।
যে নাম প্রকাশে আমি তোমার সমাধির বুকে
এঁকে দিলাম আজ  সত্যের
" অমৃত বাসর"।।
৯/০৫/২২,কলকাতা।
( কবিগুরুর মৃত্যুর পূর্বে যে কবিতা লিখে নামকরণ করে যেতে পারেনি,সেই কবিতার নামকরণ আমি করে দিলাম; জানিনা কতটুকু সফল করতে পেরেছি)।।
***********