অতৃপ্ত অনুষঙ্গ
-------
রমেন মজুমদার, 01/12/22


একটি মরণ শয্যা যৌবন দানে
কী কুৎসিত নোংরামি;বিভিষিকায় ভরা!
পরিবর্তে, ক্ষুধা নিগ্রহের যন্ত্রণা থেকে মুক্তির আশায়।


এ'অবক্ষয় সমাজের না চরিত্রের ?
অভিশাপ যে পলে পলে ছুঁয়ে দেয় জীবনকে;
সে যে,এক ব্যাধির ইশারায় নগ্ন নারীর ছায়া;
ধরাতলে, ক্ষুধাতুরে কত নারী;
ক্ষয়ে যায় যৌনতার বিকিকিনির পশরায়।


যৌবন দুমড়ে মুচড়ে নির্যাস নিঙরে দেয়া!
পসরা সাজায় অবলীলায় এক নৈবিত্তিক প্রেমের;
সেখানে লেনদেন হয় অর্থ,
ছলনার মোহনায় আটকে থাকা ইচ্ছার শেওলা।


দ্বার যদি রুদ্ধ না থাকে, তবে সূর্যের আলো জানিয়ে যাবে ইঙ্গিত
কুঞ্চিত ঘৃণার ।
চকিতে চৌকিতে বা মৃত্তিকার কোলে,
চলে লেনদেন অবলীলায়...
সূর্যের অবগুণ্ঠনে লজ্জাহীনের ভিতরে হাসে নিশাচর!


যত চাও, তত নাও ; লুণ্ঠিত সম্পদ নয় ফরিয়া;
তোমার অর্থের জোরে নাচিছ পন্নগের মত
মুক্ত বুকের পরে...
ধীরে আরও ধীরে;
উন্মাদ মাতালের বিষ পঙ্কিল রুদ্ধশ্বাসে
দিতেছ বিসর্জন যারে---
সেওতো হতে পারে তোমার স্নেহের বাৎসল্য রূপে।


এ'জীবন শুধুই কি মরীচিকা ?
প্রত্যয়, প্রত্যহ নির্বাহের তলে প্রহসন আর তিক্ত পরিহাস !
জীবন ছুঁয়ে যায় কালনাগিনীর ছোবলে!
হার মানেনা সে সামাজিক লজ্জার।


অলোক বিছায়ে নিন্মে বিগরিত দানে,
আলোকেই বিসর্জন যবনিকার ঘৃণা!
মৃন্ময় আলো তার ব্যাধিতে হয় রূপান্তরিত;
সে এক অভাবনীয় মন্বন্তর সে জীবন পারে!
মৃত্যুর নিখাত নির্ণয়ে করুণ মহামারী
ডুবদেয় জৈবিক যবনিকায়।


জননীর গর্ভে জন্ম যদিও যে নারী,
তাহরে স্যালুট জানাই নারীকুলে জন্ম নেয়ায়...
তার চেয়ে বড় আর কে হয় মহীয়ান ?
কেন যে ঘৃণিত স্বপ্নের শয্যায়;
ঢেলে দেয় অমৃত,
বিষদান বুভুক্ষ কামে!তবুও সে জননী রূপীনী ;
তবুও মানুষ,-- সে নারী।।
****সমাপ্ত---