ক্ষুধার কোন জাত নেই
---
রমেন মজুমদার, 10/01/2024


নাইরে জাত,নাইরে গোত্র,নাইরে কোনো মান অভিমান,
পেটের ক্ষুধায় আগুনজ্বলা সহ্যকরা কঠিন তুফান!
গ্রীষ্ম-বর্ষা অগ্নিদাহ যেমন পোড়ায় তারে রোজ
লজ্জা-ঘৃণা তার থাকেনা,মান অপমান চতুরভোজ।


উদরদাহ ! সব পুড়ে যায়; ক্ষুধার জ্বালায় যে মরে;
ঝাঁ ঝাঁ দুপুর! খরস্রোতা দুকূল নদীর উপচে  পড়ে!
বাঁধ মানেনা কোনোকুলের ভাঙ্গনের কান্না রোজ শুনি
ক্ষুধার জ্বালায় হুশ থাকেনা হোকনা যত জ্ঞানীগুণী।


সাধ থাকেনা, মান থাকেনা, জ্বলনজ্বালা জ্বলে যখন!
ঘরের মধ্যে সুন্দরী বউ তালাক দিতে ব্যস্ত তখন;
কবি বলে গোল্লায় যাক; কেমন করে কাব্য লিখি ?
খাবার চাই,কাজ চাই,গরিবরা কেউ নয়তো সুখী।।


দগ্ধপোড়া রুটিও তখন ক্ষুধার সহায় কৃষক কুলে!
ঘুম আসেনা ফুলের শয্যায়;আরাম আয়েশ যায় ভুলে
ডানপিঠে সুখ চিলের ডানায়,নখের আঁচড় খাদ্য খুঁজে!
বাসায় থাকা শিশুবাচ্চা মরণক্ষুধায় চক্ষু বুজে ।


জাত বোঝেনা দেবতা ভোগ,তার যে চাই
নিত্য পূজা,
ব্যক্তিত্ব আর সততারা ক্ষুধার জ্বালায় নুজ্যগুঁজা
একমুঠোভাত বস্তির লোকে চায় সে পান্তা
দিনের পরে,
সারাদিন তার চোখ খুঁজে! কোথাও খাবার নাইযে ঘরে।


রাজ্যদখল,গদিদখল, সৈয়দ-গুহের বংশ যত!
থুবড়ে যাওয়া বৈকালিক রোদ্দ সন্ধ্যে নামে আঁধার তত!
ক্ষুধায় জ্বালায় মায়ের স্তন শূন্য দুধে বাচ্চা কাঁদে!
পেটের মধ্যে পাষাণ ক্ষুধা! মৃত্যু দুয়ার
নিত্য ফাঁদে।


ক্ষুধা মাত্র দুটি শব্দ,-- অর্থ তাহার বিশ্বজুড়ে;
জাত-বেজাতের লজ্জাশরম সব মরে যায় ক্ষুধা ঘরে।
পেটের জ্বালা বড়জ্বালা সব ক্ষুধাতেই কষ্ট থাকে!
জাত কুল আর মন ইজ্জ্বত নিত্য কাঁদে পথের বাঁকে।
*****