অবাঞ্ছিত অধ্যায়
----
রমেন মজুমদার, ১৯/০৯/২৩


সুন্দরী কানন বনে,- থাকিলি কার সনে
শ্যামলী-মালতি তোরা নন্দিত গণে।
ফুঁটেছিলি বৃক্ষ ডালে
তোরা শত দলবলে
খেলেছিলি বায়ু বনে,নেচে হেসে খেলে।।


ছিঁড়িল কে বোঁটা হতে কী সুখ পেলো তাতে;
নাসিকায় ঘ্রাণ তুলে দিল ফেলে ভূমে।
শাখার মঞ্জুরী কাঁদে
দেখিল আলো সে চাঁদে,
কী ছিল সেই ক্ষণসুখ !-- মনুষ্য মননে।।


প্রাতঃ ভোরে জাগিল মিহির গতি বৃদ্ধি জ্যোতি শির!
ধীরে ধীরে শুকাইল, ফুলদলে লুকাইল;
যৌবনা রূপটুকু মরে--
চরণ মৃত্তিকার পরে;
পবনের গতি ধরে উড়িল যে কালো জলে।।


ওরে তোরা পূজার পূজ্য,নহিস দেবতা তুচ্ছ!
মন্ত্রদানে দান ব্রাহ্ম,- সঁপে দেবতা চরণে...
ছিলি'রে কুলের বালা,
আনিত ভরিয়া ডালা...
প্রাণ-কুল কল্যাণের দেবতার মন্দিরে।।


উড়িলি জলের ছলে, যাস ভেসে দলে দলে;
হাত-ছেঁড়া ফুলকলি--নীলিমার জলে;
যেন ভাসে চাঁদ-তারা
উদাসী মন হারা---
নীড় হারা পাখি যেন তাড়া খেয়ে ঝড়ে (?)


কদম ও কাদম্বিনী ফুলি, দুলে না ডালে ঝুলি;
মাঠ ভ্রমে চক্রাকরে ধেনুদের দলাদলি-
তটিনী তরঙ্গধারা
যায় বয়ে ঘূর্ণি ভরা
কোন দেশে একা একা পথ ভুলি শেষে।।


কোন সে বধূ ঘাটে,বিকট হাসিয়া ঠাঁটে
কহিল ফুলমালা যাও কোথা ভাসি বাটে!
কার হাতে হত তোরা,
জীবনে গেলি যে মারা
কী করুণ রোদন করে যাস বাস ছাড়ি ।।


তোর মত ভাসা জলে, ভাসিব যে কতূহলে
আমিও যে একদিন, কালের নিয়ম দুলে।
মায়া-মোহ সুখ ছাড়ি
যাব চলে তাড়াতাড়ি
এ যে কালস্রোতে একে একে নিজ গৃহ ছাড়ি।।


শাখার মঞ্জরি হেন! আমি সেই ফুল যেন!
আশার-নিশার খেলা খেলি যেনোতেনো!!
পৃথিবীর বোঁটা ছিঁড়ে
একদিন ধীরে ধীরে...
তুই ফুল আমি মালি, যাব অজানার দেশে।।
--সমাপ্ত--- শিখা মন্দির।