সুধাই তারে
--- রমেন মজুমদার
(ভরা যৌবনের কবিতা
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই লেখা এই কবিতা)


আদর দাও, বিস্তারে না হলে সবিস্তারে মেলে দাও আরও একটু ...
কবির ভাষায় বলি, ফলাও করে ফলাহার দাও ভোগের আরতিতে।
দেখিয়ে দাও
ডোরাকাটা নয়,মসৃণ পদ্মের ঝারে পরিপাটি সাজানো কমলদ্বয় হার মানায় শ্বেতচন্দনকেও ।


ঢাকনা খুলে তাওয়ায় জ্বালানো নলেন গুড়ের গন্ধ নাও,মিশিয়ে নাও বাটি ভরা দূধ;
চাহিদার খতিয়ান খুলে দেখলেই পাওয়া যাবে টগবগে সুখ।


বায়না করতে নেই,
অনুনয় পেশ করলেই বুকের মধ্যে লুকানো পার্চ থেকে বের হয়ে আসে
বকেয়া মূল্যতালিকা;
মসৃণ হাতের আঙ্গুলে ছুঁয়ে যায় মরচে ধরাহুক !
তারপর,তারপর ...
তক্তপোষের খতনা ছেড়ে মোলায়েম শয্যায় পেতে নাও পুস্তক,
পৃষ্টা বদলে গড়গড় করে পাঠে মন বসাও কবিতায়,
কব্যখানি ভেসে উঠুক সুখের জোয়ারে।


পয়মন্তী প্রস্তাবে পরিষেবা পূর্ণ হবে
ঘটে জল ঢালার পরেই...
ঈশ্বরী অনুদান যত্ন করতে পারে কয়জন ?
কিছু আশির্বাদ হয়তো ফ্রীতে বিকোবে প্রেম।
হাফরের পাঁজর ভাঙ্গা শ্রম দিলেই সফলতা ফিরলে উল্লাসে,
অবলীলায় সুখ কুড়িয়ে পাওয়া যায় এখানেই ---
বোতল ভর্তি ডানো গুলিয়ে নিয়ে ঘন করে চুমুক দাও ওষ্ঠে;
তারপর,
অপেক্ষা করতে হয় আদল সুখ বেরিয়ে আসর প্রমত্ত সময়!
ঝিমুনি কাটা আলসে ভেঙে জড়িয়ে ধরবে কেউ;
আদতে লজ্জা করতে নেই...
লাজ ভেঙে মেহেক মাখাও চন্দনের।
বিনয়ে সুধাই তারে,
সবিস্তারে মেলে দাও আরও একটু, পাঠ সমাপনে হৃদ্ধহোক পাঠক।
---- সমাপ্ত।।
হরিদেবপুর।