তুই যে তরুণ
-------
রমেন মজুমদার-০১১ (কাব্যভূষণ)
তারিখ-১৫/০৪/২০২৪
-----
তুই যে তরুণ জাগা অরুণ ছেদিয়া অন্ধকার,
দাঁড়ারে তুই মাথা তুলে অহং ভুলে শুধু একটি বার।
ক্লান্তি ভুলে আয় ফিরে আয় গড়তে একটি ধরা;
ঘা মেরে তুই জাগা! নব রৌদ্র আগা,ভীষণ চৈত্র খরা।।


শিখর হিমাদ্রিতে দেশ কল্যাণের হিতে আয় ছুটে আয়,
উত্তাল ওই স্রোতধারা যাসনা ভেসে হোসনা হারা,ডাকছে মায়।
দ্যুলোক গোলোক ভেদিয়া আন,বহুক নদে জোয়ার বান!
সৃজন শিল্পে গড়ে দে,কীর্তি টুকু তুলে নে;
দূর হটা শয়তান।।


ললাটে রুদ্র জ্বালা,তোল কণ্ঠে মালা গর্বে ভরুক দেশ!
দুর্বিনীত প্রলয় কাণ্ড সাইক্লোনে নিভুক কুণ্ড অনিঃশেষ!
রাজটিকা নাও ভালে তুলে;নষ্ট জ্বালা মুছুক মূলে ভবে,
পাপ মুক্তি হোক জীবন যত,অবিরত বিশ্বধরা তবে ।।


তুইরে কৃষক,কবিও তুই; জঞ্জাল গুলো কররে ছাপ!
বিশ্ব বেঈমান আছে যত,কররে ক্ষত
দিসনা রে মাফ।
অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল!উৎপাটনে ফলুক ফল
রোষের তাপ।।


তুই মহারাজ,তুই নটরাজ;তুইরে তরুণ সমাজ বল;
তুই কৃষকের আবাদ জমি,শ্রদ্ধা নমি,
এগিয়ে চল।
নারীর বুকে যত জ্বালা,বীরাঙ্গনার কষ্ট মালা,একলা কাঁদে,
ভাত বিহীনে বস্তি ঘরে কেঁদে মরে; ক্ষুধায় তারা কী বা রাঁধে।।


ধুর্জ্জটী তুই,পরশুরামের কুঠার হয়ে কাটরে গলা!
নারীর বুকের প্রেম হয়ে পুষ্প লয়ে সাজিয়ে নে ফুলের ডালা।
দেবীর পুজোয় অর্ঘ দিয়ে;নষ্ট হিয়ে খতম করে,নে পরে তুই মুণ্ডমালা।।


হৃদ সরসিজ তপ্ত দেহে,কে কহে তুই বীর নস পদ্ম সাজে!
বাঁধন হারা নারীর কেশে; রুদ্র বেশে আয় ছুটে তুই বিশ্বমাঝে।
বিধবার সাজ সাজিয়ে দে লাল সিঁদুরে দ্বিধা ভুলে ...
মাতৃরূপা,সকল মাকে সসম্মানে সাজা ফুলে নয়ন জলে।।


ন্যায়ের পথে এগিয়ে যা তুই,ফোটারে ফুল  গন্ধ জুঁই...
কাঁকন চুড়ির শব্দ তোল,হিংসা ভোল
মন ভুবনে তপ্তভূঁই!
মলয় অনিল দখিন বায়ে;ছুটুক গাঁয়ে শান্তি বার্তা--
দলন দিয়ে চাপ হিয়ে ভাঙরে তুই কলুষ যত আছে কর্তা।।


বিদ্রোহ হও এগিয়ে যাও; ভাঙো যত শোষণ তালা !
দুমুঠো ভাত দাও তুলে, হিংসা ভুলে  মেলিস ডালা--
জাত-অজাত যা ভুলে তুই নব্য সমাজ গড়তে আয়;
কষ্ট ভুলে অশ্রু ফেলে ডাকছে তোরে অবলা মায় ।।


সপ্ত আকাশ ভেদিয়া যা, অন্যায় বুকে মারিস ঘা !
অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ!গুঁড়িয়ে দিতে এগিয়ে যা।
নিদাঘ-তিয়াসা মিটুক তবে,বিশ্ব ভবে মুক্তি স্বাদে...
আয়রে তরুণ তোরাই অরুণ,দহন দিতে নির্বিবাদে।।
-----
লেক ভিউ,কালীবাড়ি।