তার একটি লাল গোলাপের মাঝে এতোটা পথ,
কখনো ভাবিনি।
কখনো ভাবিনি, তার চুলের গন্ধ শুকে শুকে মৃত্যুর স্বাদ পাবো
তবুও হেঁটেই চলেছি নিক্লান্ত নিঃশেষ।
তার ওই নগ্ন পায়ের ছাপ আমার ঘুমে কেঁড়ে নেয়
আমি হেঁটে চলি আকাশের মতো।
বৈঠাহীন নৌকার গন্তব্য  কতোদূর আমি ভুলে যাই
পোড়া কাঠের কয়লা সরিয়ে তাকে ভালোবাসি সফেদ সমুদ্রে মিশে থাকা নুনের মতো
আমি আমাকে চিনিনা তবুও ভালোবাসি তার মতো।
তার সেই  ছিঁড়ে ফেলা পথটুকু আমি হেঁটেই চলেছি, অস্বিত্বহীন স্রষ্টার মতো বিশ্বাস ভরে
মাঝে মাঝে যেন ক্লান্ত হয়ে আসে আমার পথ,
তবুও তার পায়ের আওয়াজ শুনে হেঁটে চলি নিক্ষান্ত পরযায়ী।
হয়তো এ পথ সে গিয়েছে ভুলে
তবুও তার কুমারীত্বের ঘ্রাণ মিশে আছে  ধূলোয়
তাকে ছোঁয়ে থাকার শীহরণ নেই
শুধু  চোখের কর্নিয়ায়  প্রণয় প্রলয়ে পুড়তে থাকা গ্যালাক্সি দেখেছি।
আমি হেঁটেই চলেছি
উত্তপ্ত  দ্বীপ চুমে নিচিহ্ন হওয়া ঢেউ গুনে গুনে
যেন ঝড়ের মুখে পথভুলে যাওয়া পথিক এক।
ঐ তো অদূর পাহাড়ের গায়ে শুকনো শ্যাওলা জমে আছে, সেখানেই হয়তো পাবো তাকে
তারপর, শীতার্ত রজনী কাটাবো প্রণয় অনল জ্বেলে
তার পাঁজরে মাথা রেখে ঘুমিয়ে যাব অনন্ত নিঃসীমতায়।
আমি মৃত্যুক্ষুধা ভুলে যাব,
যেন তৃষ্ণার্ত নাবিকের উল্টে যাওয়া জিহবা শীতল হবে বৃষ্টির জলে।