তোমাদের দশমুঠো মৃত্তিকার আবরণে যখন ঢেকে যাবে আমার স্থাবর পৃথিবী,
একদল ডুবুরি এসে খুঁজে নেবে সহসা ডুবন্ত  দ্বীপের ফসিল,
খুঁজে নেবে অস্থিমজ্জার রুটি মদ,
সমুদ্রবুকে ভেসে থাকা প্রবাল দ্বীপের তাবৎ ইতিহাস।


স্পর্ধিত শাণিত তরবারি ফেলে আমি তখন নতজানু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবো
ঠিক যেন দন্ডিত ফাঁসির আসামী।
যেন অতলস্পর্শী অর্ণব চষে বেড়ানো উন্মাদ ঊর্মি,
প্রকাণ্ড প্রস্তর শিলায় আছঁড়ে পরে থেঁতলে যাওয়া পরাভূত প্রত্যাবর্তন।


ট্রিনিয়ন সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলতে থাকবে আমার পৃথিবী
বরফগলা নদীর মতো বয়ে যাবে আমার মস্তিষ্ক স্কাল
পালাতে গিয়ে শ্লথ হয়ে আসবে ব্যর্থ পর্দাপন।


কতো নক্ষত্রের বীরত্ব ছিল প্রবাল দ্বীপের কোরালে
কতো বৈভব বিত্ততায় শৌর্য বীর্যে পূর্ণ ছিল দুপায়ী পৃথিবী,
আজ ক্ষীণজীবী দূর্বাসম ক্ষমতা নেই, দশমুঠো মৃত্তিকা ভেদ করে উঠে দাঁড়াবার।


"তোমাদের দশমুঠো মৃত্তিকার আবরণে"
(রৌদ্রীয় পরাবাস্তব সনেট)
16 ই বৈশাখ 1426
টঙ্গী কলেজ গেট


-"বিষাদের নীল কণ্ঠ"  যৌথ্য কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।