শনিবার ছুটির দিনে এক বাপ তার পাঁচ-ছয় বছর বয়েসী শিশুকণ্যাকে নিয়ে বাইরে এলেন ডাব খাওয়াবেন বলে,সঙ্গে নিয়েও যাবেন । বিক্রেতা ব্যস্ত কাটাকুটিতে। আমিও একজন ক্রেতা ,দাঁড়িয়ে আছি ডাবের আশায়।
অকস্মাৎ ক্ষিপ্র গতিতে নাজিল হলেন এক এসআই,
সঙ্গে তার রাইফেল কাঁধে দুই জোয়ান সিপাই।
পোশাকী সাহেব দেখে হতভম্ব অন্য ফেরি কারবারিরা ! একজনের উদ্দেশ্যে তিনি দরাজ কণ্ঠে শুধালেন, “ অই রফিক কইরে?,অরে আমার দরকার !
ক্যান স্যার, কুনু অন্যায় করছে ? না,কাম আছে ।”
এইসব কথার ফাঁকে সাহেব ডাবওয়ালাকে হাঁকলেন,“ অই আমার লাইগ্যা একটা ভাল ডাব কাট্ । “পুরনো ক্রেতাদের কাজ ফেলে বিক্রেতা এবার ত্রস্ত হাতে তার শান দেওয়া দা কপাকপ্ চালাতে লাগলেন সবুজ কচি ডাবের ডগায়...।
অদূরে ওই একজনের সঙ্গে চলছে সাহেবের ফুসুর-ফাসুর।
ভীত বিক্রেতা এসে, “নেন, এই নেন স্যার আপনের ডাব।” স্ট্র সমেত কাটা ডাবে চুমুক দিয়ে ফের কথায় মগ্ন হলেন সেই সরকারি পোশাকধারী বীরপুঙ্গব । এদিকে দাপুটে সাহেবের মুখপানে অবাক তাকিয়ে রইল তৃষ্ণার্ত শিশুটি...!
খানিক বাদে চেয়ে দেখি, কোথায় এসআই, কোথায় সিপাই-কেউ নেই!
বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করলাম,“তোমার ডামের দাম নিলা না ?
ঘৃণিত স্বরে জবাব এলো,“পুলিশ আবার ট্যাকা দেয় নি !”


১৭ নবেম্বর,বিকেল,২০১৮