ভোরের আলোয় শীতের মেঘে, শিশিরেরা করছে লুকোচুরি,
দূর্বা ঘাসে শিশির ভেঙে ওরে  কে যায় আঁচলে চকচকে জরি।
পায়ে নূপুরের আওয়াজ , খেয়ালস্রোতে গেয়ে যাচ্ছে গুনগুণ ,
আমি অপলক দেখি, বারবার দেখি যেন কুয়াশাশর্বরী রুনঝুন।


সূর্যি মামা কুয়াশাভেদে প্রদীপ জ্বেলেছে ,পুরো পৃথিবীর  ঘরে,
আমার ছন্দোময় মন হিল্লোল খেলে, তার নীলাঞ্চলে রূপের ছলে।
তার কানের দুল যেন শাপলা শালুক,  শিথিল চোখের পলক,
সে যে একবার চেয়ে বারবার চেয়েছে, বিস্মিত রূপের ঝলক।


যেই শূন্য মনে এতদিন ছিলো, আধ-জাগা আধ-ঘুমো অলস দিন,
এই প্রভাতে যেন তাকে দেখে ভাগ্যে দিলেম চুমো জীবনটা রঙ্গিন।
যেই স্বপন ছিলো এই বুকের মাঝে, মনের কোণে বীণার সুরের তার,
এমন কেউ আসবে, কুয়াশাশর্বরী  হয়ে গলায় পড়াবো ফুলের হার।


উদয়রবির আলোর আড়ালে , আমি আবার তাঁকে খুঁজে চললাম,
যেই হারিয়েছে কুয়াশার ভিড়ে, শিশিরের স্রোতে মন ভরে ডাকলাম,
সেই দিন পাইনি তারে  চোখের ঘরে, জীবনপ্রবাহের  খেয়াঘাটে,
আজো পথচেয়ে  আছি ,সেই কুয়াশাশর্বরী'র যদি ধরা দেয় মনপটে।  


রচনাকাল
০৯-০১-২০১৮
ইউ এ ই