আমাকে হেরে যাবার গল্প বলে বিমুখ করো না!
এগিয়ে দিও না কোন ময়ূরাক্ষী ফাঁদ,
আমি তো শুনেছি শংকিত রাত্রির
কান্না জড়ানো কণ্ঠস্বরের সুতীব্র আর্তনাদ,
দৃষ্টি সীমানায় নিবদ্ধ মুমূর্ষ পৃথিবী স্থবিরতায় কম্পমান।
সন্মুখে দেখেছি-
মায়ের কোমল তৃষ্ণার্ত চোখে দোদুল্যমান অনিশ্চিত ভবিষ্যত।
শুধু দেখি নি- নব জাগরণের আনন্দে মেতে ওঠা একটি উত্ফুল্ল সকাল,
বিজয়ের গর্বে ভরে ওঠা কোন কিশলয় মুখ।
গভীর পর্যবেক্ষণে দেখেছি-
দরজার আড়ালে লুকায়িত এক বিলাসী বধূর পান পাতা মুখের বক্র হাসি,
অমসৃন চঞ্চল চোখে যেন উপহাসের স্পষ্ট ঈঙ্গিত।
আমি মায়াবী আঁচলের বাঁধন আলগা করে সন্তর্পনে উঠে দাঁড়াই,
হাতে তুলে নেই জন্ম দিনের কেক কাটা ছুরি।
বুকে অসীম সাহসের ভাণ্ডার
মাথায় মায়ের দীর্ঘ আশির্বাদ,
অবিমিশ্র স্বপ্ন মাধুরী আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখে
কোন এক সুদৃপ্ত প্রতীক্ষায়।
বিজয় আমাদের হবেই-
সুদৃঢ় আগামীর জন্য তাই
হেরে যাবার ঐ নাখোশ শব্দ উচ্চারণ করো না আর।