(১)পেয়ার,মোহাব্বৎ,ভালবাসা


পেয়ার, মোহাব্বৎ, ভালবাসা এ তিনকে আমি খুব ভালবাসি।


পেয়ারকে বলি, "শ্রদ্ধা"।
মোহাব্বৎকে বলি, "বিনয়"।
ভালবাসাকে বলি, "নম্র"।


এ তিনের সমন্বয়ে যুগের সৃষ্টি হয়েছে।


    সে যুগ মহাকাল।


সে কালের শেষে কি আছে আমাকে তা কে বলবে?


(২) বড় গল্প


দশ হাজার বছরে একদিন।
আমি চারদিন হরপ্পা ছিলাম।
সেখানে কি ঘটেছিল আমাকে কেউ বলেনি।
সে গল্পের কোন গৌরচন্দ্রিকা নেই।


(৩) তোমার মুখ


দুই নামে পৃথিবী চলে, এক/ সূর্য, আরেক- তুমি


সূর্য ছাড়া পৃথিবী চলেনা, তুমি ছাড়া পৃথিবী অচল।


আমি তিনদিন তিনরাত খাইনি ৪র্থ রাত কি হবে আমি জানিনা।


(৪) সেই গল্প


দশ হাজার বছরে একদিন।
'একদিন' আমি তোমায় দেখেছিলাম।
সেদিন আকাশে বৃষ্টি ছিলনা।
আমার নাম ইয়াজিদের খাতায় লেখা।


(৫) অলিম্পাসের রানি


যদি পারতাম মাউন্টঅলিম্পাস যেতাম।
অ্যাফ্রোদিতিকে বলতাম আমার হও।
... না হলে নাক কেটে ফেলতাম।
সে 'রক্ত' অলিম্পাসেই মাটি দিয়ে আসতাম।


(৬) নতুন গল্প


দিকভ্রান্ত পথিক আমি-
পথ খুঁজে পাইনা।
তুমি আমায় পথ দেখালে।
এখন শুধু সোজা হেঁটে চলি।
এ পথের শেষে কি আছে তা কে জানে!


(৭) শুক্রের গল্প


যদি ফুল হতে, ভালবাসতাম।
যদি মল্ হতে, ভালবাসতাম।
তুমি আবর্জনা হলে, দূরে ঠেললাম।


এভাবে কি দিন যায়?


একবার বলনা, তিনদিনে একদিন ৪র্থ দিন কি হবে আমি জানিনা।


(৮) দুই গল্প


দশ দিগন্ত পার করে তুমি এলে।
এখন আমি তোমায় কোথায় রাখি?
তুমি যে সূর্যের রানী।


   এ গল্পের কি শেষ আছে?  সে গল্পের শেষে কি হবে তা কে জানে!


(৯) যদি দুটি কথা বল।


ঝর্ণা চলে লাফিয়ে লাফিয়ে।
ঝর্ণা চলে টগবগিয়ে।


আমাকে বলে, আমাকে নেবে?


আমি বলি, আমার ফুরসৎ নেই।


(১০) তোমার আমার মনোলোভা


মনোরম কবিতাটি লেখা হয়নি।
সে কবিতার গল্প কি?


তুমি আমায় বল দশ দিগন্ত পার করে কি উল্কা বয়ে চলে?


(১১) ''নবনীতা'


কত গল্প করি তোমায় নিয়ে, "তুমি সুন্দর"।
সে যে মনোলোভা গল্প।


   সে গল্পের শেষে একটি লাল টিপ আছে।


(১২) 'নতুনত্ব'


দিন-রাত শুধু তোমায় ভাবি।
এভাবে সময় যায়।


আমার গল্প লিখবে কে? যে নারী কোনদিন পতির মুখ দেখেনি সে কি আমার গল্প লিখবে?


(১৩) শব্দের দিক্বিদিক


শব্দ চলে ১০০ মাইল গতিতে।
সে কাউকে দেখে না।


  তার পথের সামনে কেউ বাধা হলে তার ছাল তুলে ফেলে।