আমি জানি, হেরে গেছি শতবার,
নির্জন রাতে নিভে যাওয়া দীপের মতো ভার।
ভাঙা স্বপ্ন হাতে ধরে জেগে আছি আজও,
আকাশ ছুঁতে চাওয়া মন থামে না কভু।
তবু প্রতিটি হার আমাকে আলো দেয়,
রক্তে মিশে এক নতুন সাহস বয়ে যায়।
যারা বলে, “তুমি ব্যর্থ”, হাসে কপট চাহনি,
তাদের চোখেই লুকায় ভাঙা আয়নার কাহিনি।
আমি তাকিয়ে দেখি সেই আয়নার মাঝে,
ভাঙনেই খুঁজে পাই আশার সাজে সাজে।
চূর্ণ কাঁচের প্রতিটি রেখায়,
লুকিয়ে থাকে একেকটা নবযাত্রার শেখায়।
ব্যর্থতা যখন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় বুকে,
আমি তখন উত্তর খুঁজি আলোর সুখে।
নতুন সূর্য, নতুন পথ, নতুন এক দিগন্ত,
আবার শুরু হয় আমার সাহসিক কল্প।
ঝড় আসে, অবহেলা বাজে কানে,
তবুও আশার বাতি নিভে না প্রাণে।
অন্ধকারে জন্ম নেয় দীপ্ত আগুন,
ভেতরটা জ্বলে উঠে নীরব দহনভরুণ।
আমি বিশ্বাস করি, প্রভুর পরিকল্পনা শ্রেষ্ঠ,
ভাঙা হৃদয়েও তিনি রাখেন সৌন্দর্যের রেষ।
সে সৌন্দর্য দেখার চোখ দরকার শুধু,
বিশ্বাস থাকলে ব্যথাও হয়ে যায় পূণ্যরুদ্দ।
আজ হয়ত নিঃশব্দ, কোলাহলে ডুবে,
তবু স্বপ্ন গায় গোপনে ভোরের রূপে।
সফলতা আমার হাতে নেই আজ,
তবুও লড়াই দিয়ে রাখি সুরের সাজ।
অবিরাম প্রার্থনায় ভিজে আমার পথ,
আশায় জ্বলে ওঠে হৃদয়ের আলোযুক্ত চিত।
ঘন অন্ধকারে গন্ধ পাই ভোরের,
রক্তিম রোদ নামে চোখের নীড়ে।
প্রতিটি অশ্রু হয় তখন ইবাদতের ছোঁয়া,
ব্যথা দেয় শক্তি—দেয় জীবন জোড়া।
হ্যাঁ, আমি হেরেছি—তবু থেমে যাইনি,
ভেঙে গেছি বহুবার, তবুও হার মানিনি।
এই গল্প আমার এখানেই নয় থেমে,
কাল আসবে—আলো ঢেউ হয়ে বয়ে যাবে।
সেই ভোর ডাকবে আমার নাম ধরে,
সুখে গাওয়া জয়গান উঠবে ধ্বনি করে।
“দেখো, যে হাল ছাড়েনি কভু,
সে-ই অন্ধকার ভেদ করে দিয়েছে রৌদ্রর রঙ ঝলমল শুভ।”