রূপ খোঁজে ছেলে, টাকায় মাতে মেয়ে,  
ভুলে যায় জীবনটা ধোঁকার সয়ে।  
সুন্দর মুখশ্রী মুছে যায় কালো,  
আত্মা কি জানে কার মনটা ভালো?

বিয়ের নামে চলছে আজ বানিজ্য,  
ভালোবাসা নিছকই এক নাট্যমঞ্চ।  
শরীরের খেলায় হয় হৃদয়ের ক্ষয়,  
বিয়েটা নয়, হয়ে গেছে প্রহসনময়।

ছেলে চায় বাহারি, মেয়ে চায় ব্র্যান্ড,  
মানবিকতা ডুবে যায় বিলাসী ট্রেন্ড।  
বাড়ি গাড়ি দেখে হয় বিয়ের বিচার,  
ধর্ম, মন, চরিত্র — সবই যেন হার!

ছাড় নেই মেয়ের, ছাড় নেই ছেলের,  
অহংকারে ভাসে দুই পক্ষের খেল।  
একটু যদি সহানুভূতি জাগে,  
দ্বীনদার পাবে, সুখের দ্বার লাগবে।

কালো বলে তাচ্ছিল্য, গরিব বলে বর্জন,  
কে জানে ওর ভেতর কত অশ্রু-অভিমান!  
চাকরি না থাক, হোক অন্তরে আলো,  
ঐ আলোকেই সংসার হবে ভালো।

সমাজে আজও আছে অনেক সৈনিক,  
যারা বোঝে না ‘বিয়ে’ মানে কেবল দেহের দিক।  
তারা খোঁজে মমতা, খোঁজে দীপ্তি,  
যার ছোঁয়ায় জেগে ওঠে ঈমানের মিতি।

ক্যারিয়ারের নেশায় যে হারায় সময়,  
চাইলেও পায় না সঠিক মানুষ—ব্যর্থ প্রেম-পরায়।  
তিরিশ পেরোলেই সমাজে দাম পড়ে কম,  
কি নির্মম জীবন, কি একাকী দম!

আর নয় বিলম্ব, আর নয় মোহ,  
চোখ মেলে দেখো সত্য—বুঝো বিয়ের রহস্য।  
দিনদার বেছে নাও, দুনিয়াও হবে শ্রেষ্ঠ,  
আখিরাতেও পাবে প্রেমময় সঙ্গ!

এভাবেই গড়ুক সংসার এক স্রোত,  
যেখানে নেই রঙচঙে লোভের কোনো চোরাবোট।  
মানবিকতা, ইমান, আর ভালোবাসা,  
এই হোক জীবনের শ্রেষ্ঠ উপাসনা।