ভোরের আলো ফোটেনি তখন
পাখিরাও তখন জাগে নি,
ট্যাংকের আওয়াজ গর্জে ওঠে
যেন রক্তচোষা প্রাণী।


লেখা হলো অমর এক প্রবন্ধ
যে প্রবন্ধে সূর্যটাও লজ্জিত,
পাখিরাও প্রাণের শোকে আচ্ছন্ন
এ যেন পাকের রঞ্জিত রাজ্য হস্তগত।


দানবের মত,গর্জে ওঠে ট্যাংকার
নেই কোনো আর্তনাদ, হাহাকার,
যেন বীরের থেকেও বীরত্বকাব্য
উচ্ছারিত হয় প্রতিবাদের হুংকার।


মাটিতে পরেছিল তার নিথর দেহ
গড়াগড়ি খায় সোনার স্বপ্নে,
উদিত হওয়ার সময়ে যেন অস্তমিত
লাল কৃষ্ণচূড়া ঝরে স্তরে স্তরে।


তিনি ছিলেন মুজিব,অদৃশ্য বংশী
যার সুরে মাতোয়ারা আপামর বাঙ্গালি।


সূর্য ডুবে নতুন দিনের আশা নিয়ে
যে প্রভাতে মুছে যাবে গ্লানি,
কৃষ্ণচূড়া আবার ফোটে উঠবে
স্বাধীনতা হবে পূর্ণ স্থায়ী।


হায় বাঙ্গালি,
মুক্তির অকুতোভয় অগ্রদূত বুঝেনি এখনো জাতি
ব্যাক্তি মুজিবের মৃত্যু হলেও,মুজিবাদর্শ মৃত্যুহীন।