স্বার্থের কোন্দলে মনুষ্য জাতির অবনতি,
কখন হবে জাগ্রত? অন্ধের থেকে পাবে স্বস্থি।


না, পাবে না স্বস্থি, কারণ রয়েছে মনস্তাপ ঘাটতি,
তবে কোথায় মুক্তি আর কোথায় মিথ্যার অবনতি!  


কোথায় ডুবে আছে নির্বোধের আলো ?
কোথায় তবে স্মৃতির মোড়কে মনীশার ব্রত?


জীবনকে আটকে দিয়েছে অসত্যের সংবিধানে?
কবে হবে সংশোধনী ? রায় হবে জাগরণে।


অস্তিত্ব জুড়ে আজ কেবল শূন্যতার আহাজারি,
বাহিরে সবই চাকচিক্য, ভিতরে অমবস্যার গ্লানি।


ভেতরে আছে প্রগাঢ় অমানিশা, দুর্নীতির রকমারি,
স্বৈরশাসকের হাতছানিতে, তুমি এক নিগৃহীত নারী।


রণ উন্মুখ সন্তানের দেখা চির সৃষ্টির মহা সংগ্রাম,
সৈনিকের পদ ভারে ধরণী কাঁপে, রসাতলে আকাম।


ধ্বংসের বুকে হাসুক ধরণী, পদচিহ্ন আকাশে,
গিলোটিনে বধ হোক রক্তাম্বর ধারিনী সত্যের ক্রুশে ।


ধূমকেতুর মতো হোক সর্বগ্রাসী, অনলে ফুটে ফুল
স্রষ্টা আজ এসে কাটুক, অন্যায় হোক অতল ।

নীলকণ্ঠ আসুক বেঁধে, তাসের স্রষ্টা হোক ভষ্ম
আসুক আবার কালাপাহাড়, ছুটে অন্যায়ের অশ্ব।