ধূলিময় কোনো এক ব্যস্ত নগরীর উসকোখুসকো আবহে,
যেথায় বিহঙ্গ তার বিরহের সুরে কথার মাধুরী বিছিয়ে চলে।


স্বচ্ছ নীল আকাশে এক রাশ কৃষ্ণচূড়া তার রঙিন পাখা মেলে,
আমি, ঐ যে কৃষ্ণচূড়ার ডালে বসে থাকা নির্বাক কোকিল মনে।


আমি জানি তুমি বলবে, কেনো নিন্দা? সে তো পরমেশ্বর বটে,
অহেতুক নহে। মধ্যাহ্ন শেষে দেখিও বসে নিদ্রাতুর চোখে,
চির প্রশান্তি যেনো জড়ো হয় গোধূলির কোনো রক্তিম প্রহসনে।


হঠাৎ কোনো এক কোকিল কণ্ঠে তুমি মুগ্ধ হবে, তবে-
সে মুগ্ধতা ক্ষণে ক্ষণে নিঃশেষ হবে, কোনো উল্কা ধূলি ঝড়ে।


আর তুমি! তুমি তো সেই কৃষ্ণচূড়া আর শিমুলের ডালে,
প্রজাপতি দক্ষের বর পেয়ে, রঙিন পাকা গায়ে জড়িয়ে,
কোনো এক প্রভাবতীর ন্যায় পুষ্পিত গগনচারীর বেশে।


আর আমি! বসন্তের নতুন সুরে উন্মাদ মননে কোনো এক পলাশ বনে,
যেমন করিয়া প্রভাবতী ঘুরে প্রভাতের পুষ্পিত গগন তলে!
তেমনি করিয়া কোকিল কণ্ঠের সুধাময়ী সুরে সন্ধানে ছুটে চলি কৃষ্ণ হয়ে কৃষ্ণ চত্তরে।


আমি প্রকৃতিতে আপন আত্মাকে খুঁজি,
যেনো বসন্তের কৃষ্ণচূড়ায় রঙ্গিন হওয়া ঘুড়ি।
আমি আপনাকে খোঁজে বেড়াই আপনার মাঝে,
যেনো কোনো রমণীর এলো চুলে বাঁধা নয়নতারার পাছে।


আমি হারিয়ে যাইনি, তবে হারাতে চাই বসন্তের রূপের মায়াতে
যেখানে হলদে পাখির পালকের ন্যায় পালক থাকবে আমার গায়ে।


আসছে, বহু প্রতিক্ষার পর দেখা দিয়েছে, বহু বাঁধা জয় করে,
পৃথিবী আবার চেয়ে দেখবে, নব উদ্যমে পৃথিবীকে রাঙ্গাবে।


আমিও আসবো, হারিয়ে যাবো, পৃথিবীর ইতিহাসে,
শেষ হবে অপেক্ষার প্রহর, চলবো স্থায়ী আবাসে।