বাতাসের আবাসে চারদিকে সুভাগম
প্রকৃতিতে এসেছে সুখের আগমন
ফুলে ফুলে সুরভিত চারদিক
পাখির কল কাকলিতে মুখরিত উপন্যাসিক।


আমারও হচ্ছে এক অফুরন্ত অনুভুতি
ঘুম ভাঙ্গার পরেই জানালার পাশে বসেছি।


মনে পরে গেল এসেছে বসন্ত,
শীতের শুষ্কতা আর অন্ধকারকে ঘুচিয়ে
এসেছে বসন্ত নতুন আলোর প্রভাত নিয়ে।


এসেছে পুষ্পমালা বিরচনের লগ্ন,
দক্ষিণে বাতাসের মৃদুমন্দ জাদুস্পর্শ।


পৃথিবীর সর্বাঙ্গে লাগে অপূর্ব শিহরণ
কোকিলের কুহু গীতি ভূ-তে অনুরাগের প্লাবন।


শিমুল-কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম উচ্ছ্বাসে মধু-মালতী
অজস্র বাচালতায় মাধবী-মঞ্জরির গন্ধেশ্বরী।


বর্ণের তুমুল কোলাহলে লাগে আশ্চর্য মাতামাতি
শিমুল-কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম বিহ্বলতায় চির যৌবনে
বসন্ত তো এক অদৃশ্য যাদুকর মায়াবী।


বর্ন-গন্ধমদির আবির্ভাবে শূণ্যতার অবসান
সে মেতে ওঠে, এক অফুরন্ত বন্যায়-প্রাণ।


বারংবার শেষ-বসন্তে তার এ বর্ণবিলাস
প্রাণপ্রাচুর্যের জোয়ারে আসে যে ভাটা
গ্রীষ্মের জন্যে তপস্যার আসন বিছিয়ে
ঋতুরাজ দিয়ে যায় বিদায়ী বার্তা।