তুমি? চিনো তারে ? যে আকাশপানে চাইয়া থাকে ।
চিনো না। আমি তারে চিনি, জানি, মোর লগে কথা কয় ।
জানো, আসমানি সে, দিনের বেলা আসমানে কি যেনো খোঁজে ।


আমি বুঝি না। তুমি বুঝো তার ভাব ?
আবার দেখি, মাঝে মাঝে রাইতের বেলা তারা গুণে,
গুণে না, গুণে না, কি যেনো খোঁজে ? তুমি জানো ?


আবার মাঝে মাঝেই দেখা যায় -
কাকতাঁড়ুয়ার মতো অপলক দৃষ্টি নিয়া চাইয়া থাকে ।
যেই সরু লম্বা রাস্তাডা গেছে, ঐ দিগন্তের দিকে।


কারোর কি আসার কথা আছে নাকি ?
মনে হয় কারোর অপেক্ষায় থাকে।


গত বৎসরেও তার চেহারায় আলো জ্বলতো,
এখন দেখো কেমন নিবু নিবু বাতির মতো জ্বলে কোনো রকমে।


আগে চোখ গুলারে রসগোল্লার মতো মিষ্টি মনে অইতো ।
আর অহন মনে হয় অগ্নি বর্ষন অয় ।


কিছু বলি না তারে, যদি আবার গোসা করে ।
আগে টুকটাক ঝগড়া অইলে চোখতে টপটপ কইরা পানি পড়তো,
আর অহন নাকি চোখ দুইটা পাথর অইয়া গেছে।


আমিও কইছি, মনের মাঝে হুতুম পাখি পুষ্যি রাখছি,
হেয় নাকি আইবো, আইতে আইতে পাখিডা যে মইরা যাইবো।


আমি কই কি, আইবো, আইবো, খুব তাড়াতাড়ি আইবো,
যখন আইযবো, তখন তো হতুম পাখিরে ভুইলা যাইবা,
এর থাইকা এইটাই ভালা আবদ্ধ পাখি মুক্তি পাইবো।
ছাইড়া দেখো দেখি, পাখিডার যে কি পাখা ঝাপটানি।


আরে আগে কইলাম না দিনের বেলা আসমানে চাইয়া থাকে,
সে তো মুক্ত পাখিদের মাঝে আমারে খোঁজে ।


আর রাইতের বেলা তারার মাঝে আমারে টাহর করে।
কিন্তু পারে না। পারবে কেমনে ? আমারে কি ভালোবাসে?


আসমানে তো মেলা তারা, যহন আমি তারা অই, তখন তার তার ছিলোনা বেলা, আছিল শুধু হেলা।


অহন খোঁজোক, আর চাইয়া থাহোক দিগন্তের পানে,
এই বছর যে তারা হইছি, আমিও আছি মেলা সুখে।