হে প্রেয়সী, মনের গভীরে ফোটা পুষ্পিত তারকা!
তোমার থেকে যাহাই আসুক, হোক নরকের কাঁটা,
পুষ্পিত গোলাপের আন্দোলিত ঘ্রাণ  বা মোহিত মায়া,
হোক তা প্রাণ আত্মা, কিংবা প্রাণহরণ কোন প্রেত
আমি তোমার সবকিছুতেই পরম আন্দোলিত।


হে প্রেয়সী, হরিণের মত সুন্দর চোখের অধিকারিণী!
হোক না কোনো বজ্রের আঘাত বা বিদ্যুৎ চমকানি,
হোক কোনো গিলোটিনের মুখে সহাস্য মহীয়সী।
ধুমকেতুর মতো বিস্মিত বেগে চলা পরমাত্মা,
যেমনি করে আসুক প্রেয়সীর থেকে প্রণয়ের বার্তা।


হে প্রেয়সী, আকাশে বাজুক কোনো শঙ্ক ধ্বনি!
প্রণয়ের সুখ সংবাদ উড়ে যাক প্রেয়সীর কানে,
ধরণীর বুকে আসুক পদচিহ্ন মহা দ্বৈরথ রণে।
ভাগ্যের ময়দানে মন্থন করে, চার ইঞ্চির কপাল,
আত্মার আরক্ত হৃদয়ে না আসুক মহাকাল।


হে প্রেয়সী, ধ্বংসত রক্ষিত কালোকেশী মহা রমণী!
ঘুট ঘুটে অমাবস্যার রজনীতের মহাকালের ধ্বংসলীলা,
হোক তবে অন্তিম, সুপ্রহর যেন হয় প্রেয়সীর স্থলে।
জেনে রাখো হে বিশ্ববিধাত্রীর পরম পুষ্পিত সৃষ্টি,
আমি তোমার প্রণয়ে হাসছিলাম মহা আন্দোলিত।


যদি হয় হোক অসুরের হস্তে প্রণয়ের বিসর্জন,
আকাঙ্ক্ষায় থাকুক অন্তিমে মোর প্রেয়সীর শিহরণ।