আমি মুসাফির ভেসে চলেছি সব পিছনে ফেলে
ঘুরেছি মধুপুরের মসজিদ থেকে মসজিদে।
এরই গল্প তুলে ধরছি ছোট্ট এই কবিতাতে
প্রথমেই নেত্রকোনা মারকাজ পাঠিয়েছে মধুপুর ক্যাম্পাস।


চলেছি আমরা মধুপুর থেকে একে একে
রানীয়াদ মসজিদের দিকে,
লোকজন দেখে বলে মুসাফির এসেছে
রহমত নাজিল হবে আমাদের ঘরে ঘরে।


তিন দিন চলে গেল শোকের সাথে
খোরশেদ হাজী এল বিদায় জানাতে।


একে একে চলে গেল অনেকগুলা দিন
কষ্ট করে মানিয়ে নিলাম ঐসব দিন।
খাওয়ার সময় আড্ডা,শোয়ার সময় আড্ডা,
গোসলের সময় সাবান নিয়ে কাড়াকাড়ি
কি করে ভুলব স্মৃতির ছবি গুলি?


সামিউল(হুযাইফা)চিৎকার করে বলত--
ঐ ব্যক্তি বুদ্ধিমান যে মরার আগে
মরার সামানা তৈরী করে আর জাম্মাতে
ঐ ব্যক্তি বুদ্ধিমান যে বিদ্যুৎ যাওয়ার আগে
নিজে নিজে গোসল করে।


তারপর একে একে উইকেট পড়িতে লাগিল
পড়েনি আমার মজবুত গাঁথনি ছিল।
সামিউল(হুযাইফা) বলেছিল পড়বেনা তার
সময়ের সাথে পড়িল একদিনে দুইবার।


কলসি ফুটা কইরা দিমু এই নিয়া হাসাহাসি
পানি পড়ব বাইয়া না চুঁইয়া তা নিয়া ধরাধরি।


গ্রুপ তৈরী করলাম খাওয়ার সময়ের
আমি,অয়ন,শুভ সামিউল বসি একসাথে।
একসময় সামিউল আমায় বলে
তিন বাহিনীর প্রধান আমরাই ওরে।


ডাল খাওয়া শিখিয়ে দিল অয়ন মোরে
কাড়াকাড়ি শুরু হল ডালটাকে নিয়ে।।
হচ্ছিল না আমল ফোন হাতে হাতে
রাতেরবেলা হুজুর বলে কম্বলের নিচে আগুন জ্বলে।


তখনি কেড়ে নিল ফোন আমাদের থেকে।
তখন থেকেই শুরু হল আমল আর আমল
শিখে গেলাম বড় ইবাদত কোরআন মাজিদ তিলাওয়াত।


হঠাৎ করে চলে গেল মজার দিন গুলি
সবাই এসে হুজুরকে বলি ফোন দিয়ে দিন
ফোন পেয়েও কীকারনে মন ভরেনি।।
কী করে ভুলব চল্লিশটা দিনের কথা
দিন গুলো যে মনের ভিতরে আলপনা আঁকা।


অবশেষে এসেছি নিজ নিজ বাড়িতে
কষ্টে কষ্টে যাচ্ছে দিন নিজ রুমে বসে।
তোমাদের বলছি ডেকে একটু শোন
ছাড়বানা আমল গুলো কোনো দিন।
অল্প আমলই যে হইবে নাজাতের কারন।।