আমি নদী,
ছুটে চলি পাথরের বুক ছিঁড়ে বহুদূর
আমার চলার পথে দিক্বিদিক বেজে ওঠে
যেন চঞ্চল সর্বগ্রাসী ঘুঙ্গুর।


কখনো বয়ে চলি উত্তাল ঢেউয়ে
আবার কখনো শীতল শুভ্রতার ছোঁয়া নিয়ে।
কখনো বা গড়ে তুলি আমার দুই পাঁড়
কখনো গ্রাস করি সভ্যতার পাহাড়।


তোমরা মানব,একবার ভাব..
কতকাল আগে সভ্যতার উদ্ভব হয়েছে
আমার দুকূল ঘিরে,গ্রীস বা তুর্কী যা বলিবে।


হ্যাঁ,তোমরা মানব,বানিয়েছো সভ্যতার পাহাড়
তবে নিজের মধ্যে নেই সভ্যতার খোঁয়াড়।
আমি বুড়িগঙ্গা,আমি শীতলক্ষ্যা,আমি তিস্তা।
চেয়ে দেখ আজ আমার কি অবস্থা,
যেন ভবলীলা-সাঙ্গ।


আমি আবার রুদ্র রূপ নিয়ে আসব,
ভেঙ্গে দিব যত আছে ইট পাথরে সভ্যতা
সভ্যতার নামে বার বার নদী হত্যা।
দুকূল ঘিরে গড়েছ আবাসন,দখল নিয়েছ ভুমি,
একদিন অসহায়ের মত ভাসিবে
আমার বুকে তুমি।