শাস্ত্রের ভীড়ে, পুস্তকের ভাঁজে, সভ্যতার আত্মহনন,
মুখস্থ তার প্রণয়ন জানে, মনুষ্যত্ব করে বিসর্জন।
যুদ্ধকে করো কয়েদি, কল্পনায় আঁক শান্তির ছবি,
তবেই হবে মুক্ত বুদ্ধির, উন্নত করো মম শীর ।


আটক হয়েছে মুক্ত জ্ঞান, মুখস্থের বেড়া জালে
সময় কি আসে নি ? নজরুলের মুক্তির জাগরণে।
জ্ঞানের অসীম সীমাবদ্ধতা, সমাজের বিষাক্ততা,
মনুষ্যত্বকে করেছে পঙ্গু, জ্ঞানকে করেছে খোঁড়া।


কোথায় প্রমিত ? কোথায় লৌহকপাটের বিদ্রোহীরা?
কে খুলিবে ভজনালয়ের দ্বার? ভাঙ্গিবে জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা?


একবিংশ শতকে এসে বইয়ের ভাঁজে জ্ঞান দেয় যে উঁকি,
তাজা তাজা প্রাণে জ্ঞানের নামে প্রহসনের ভক্তি,
মলাটের ভারে, ধুলোর আস্তরনে, জ্ঞান আজ ক্লান্ত,
মৃত্যুলোকে যাত্রা করা মানবতা, মুখোশের তরে অন্ধ।


শিক্ষা, মনুষ্যত্ব ও মানবতা আজ বিলুপ্তির মেলায়,
মহা সমারোহে প্রজন্ম মেতেছে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়।
সমাজের উন্নতিতে অসহায় জ্ঞানের প্রাণ,
মুক্ত বুদ্ধির দেয়ালে হাতুরি শাবল চলে অবিরাম।


সভ্যতার সহযোদ্ধে মনুষ্যত্ব হয়েছে হারাম,
মস্তিষ্ক হয়েছে অবরুদ্ধ, মুখস্ত দিয়েছে প্রণাম ।
কোথায় তবে জ্ঞানের মুক্তি, মনুষ্যত্বের জাগরণ ?
জগৎ করিবে বিদ্রোহ নাকি করিবে অনশন ?