অহঃরাত্র যাপন করিয়া, পৃথিবীর অন্তিমে বসিয়া,
জীবনের সন্ধিক্ষণে যাপিত দ্বারাভাষ্যে দীনতা প্রগাঢ়।
নীল আকাশের নিচে সবুজ গালিচায় আচ্ছাদিয়া,
কখনো কি ভাবিয়াছে ছাড়িবে মায়ার সংসার ।


স্থান নাই, কূল নাই, জীবনের নাই কোন তরী,
তরী ভাসাইয়া, সমুদ্রে আসিয়া, পড়েছো মেনিফেস্টোর দড়ি
জীবন কি বুঝো ? কল্পনার নীরে আপনারে ছাড়িলে,
কখন সে আসিবে জোয়ার, কোথায় ডুবাইবে তরীর নোঙর?


জীবনের সান্নিধ্য পেতে হলে, জীবন কোথায় তা খুঁজতে হবে?
জীবন তুমি পাবে ক্ষুদিরামের ফাঁসি মঞ্চে রশিতে,
জীবন খুঁজিয়া পাবে দীনবন্ধু মিত্রের নীলদর্পনে,
সাবিত্রীর চরন ধরিয়া উপনিবেশন যবনিকা পতনে।


জীবন যদি পেতে চাও,
যেতে হবে জীবনানন্দের জলাঙ্গীর ঢেউয়ে,
জীবনের মর্মার্থ বুঝতে হলে,
খোঁজাতে হবে বিখ্যাত সাম্যবাদীর অন্তরাল
তবুও জীবন বৃথাই রয়ে যাবে, কাশগড়ের লাল সিগন্যালে।


জীবনের মানে যদি বুঝতেই চাও
যেতে হবে সবুজ গালিচার অন্তরে ।
জ্যোৎস্নার মতো আলো ছড়াবে আবার অমাবস্যায় ম্লান হবে।
জীবনের সার্থকতা সেখানেই,
সেখানে নতুনত্বের আশায় সূর্যালোকের অন্ত ঘটে


মানুষ মানুষই,
কখন সূর্য উদিত হয়,
কখন সূর্যের অস্ত যায় তাহা বুঝিবে কি করে ?
যদি অন্তরে তাহার কালিমাখা আদর্শ লেপে থাকে।