দিখির ধারে বাঁশের ঝাড়ে রাত্রি হলেই ঘোর
জোনাক জ্বালে আলোর প্রদীপ রাত্রি শেষে ভোর
শিশির কণা ঘাসের ডগায় আলতো পরশ করে
মনটা আমার উঠত ভরে হাজার বছর ধরে ।।


ভোর না হতেই লাঙল কাধে কৃষক ছোটে মাঠে
বোইঠা হাতে নাও বেয়ে যায় মাঝি নদীর ঘাটে
রাত্রি হলেই জারি সারি ভাটিয়ালি সুর
সারা দিনের কষ্ট হত এক নিমেষেই দূর।।


রোদে পুড়া জলে ভেজা মুখ ভরা তার হাসি
সুখের ভেলায় ভাসতে জানে দেশকে ভালবেসি
পর কি আপন সবাই সবার মিলে মিশে এক প্রণ
সারা দিনের ক্লান্তি ভুলে গাইতে জানে গান ।।


এমন সুখের দেশকি কোথায় ভবের মাঝে আছে
যেথায় সুখের পরশ মেলে রুপালি দুবড়া ঘাসে
যেথায় মোদের সবাই আপন পর নাহি কেউ আর
যাদের খামে অন্ন জোটে খুশিতে দিন পার ।।


নাইযে এখন দিঘির ধারে ছোট্ট বাঁশের ঝাড়
জোনাকিরা আর দেয় না আলো মুক্ত পুকুর পাড়
এমন দিনটি আর কি পাব শিশির ভেজা ঘাসে
ভোর না হতেই উঠতো মেতে একটু সুখের আসে।।