কথার পিঠে কথা, ছুরি-তর্ক বাঁধে ভুরিভুরি।  
এক দেহেতে দুটি হাত, তর্কে তারাও কুপোকাত।  
সকাল-সাঝে কথার লড়াই, করে তারা কাজের বড়াই।  
বাপ-ছেলেতেও কথার প্যাচ, খবর গেল নানান দেশ।  

তর্ক তাদের কি নিয়ে? সবে বয়স ষোল,  
ভাত খাবে না ঘি দিয়ে।  
ধর্ম-গুরু দ্বয়ের তর্ক হয়,  
লোকে তারে বাহাজ কয়।  

বাহাজ জয়ের ক্ষণিক নেশায়, দম্ভ করে মিছেও কয়।  
আবার বউ-শাশুড়ী, কথায় কথায় তর্ক।  
তাদের উঠা-বসায় রুষিলা, কহে শশুর মশাই।  
তর্কে জড়ায় বোকা লোকে।  

বনের মাঝেও তর্ক আছে, তর্ক বাঁধায় হরিণ-গাধায়।  
গাধায় ডাকি কহিলো হরিণেরে,  
"মরুর দেশেও শাপলা ফোটে, খালে-বিলে, দিঘির জলে।"  
এটা শুনি হরিণ রাগী বলে,  
"শোন গাধা ভাই, সেথায় শাপলা পাবে কোথা হতে?  
দিঘি যেথায় নাই!"  

শুরু তাদের তর্ক, রথী থামাতে কেহ নাহি পায়।  
ব্যাঙের ডাকে শিয়াল মামায় অতি দ্রুতি হাজির হয়।  
গাধায় শাসায়, "ভুল বকেছো হরিণ," বলে ঠিক।  
শেয়াল মামার বেহাল দশা, সমাধার পায় না কোন দিক।  

সকাল গেল, দুপুর গেল, বিকেল চলে যায়।  
কেবা থামবে কার কথায়?  
শেয়াল মামাও তর্কে একাকার,  
তাই জ্ঞানী লোকের জ্ঞানের কথা, তর্ক করে বোকাসোখা।  

বৃথা তর্কে আপন ক্ষয়,  
যগ-জন, তর্ক যেন না হয়।  
বলো দেখি, দুই কানাতে তর্ক হলে,  
তর্ক তাদের কি নিয়ে?