মুছে দাও সেই স্মৃতি,
যে স্মৃতি জমেছে ধূলো হয়ে হৃদয়-কুটিরে।
যে আলো জ্বলে আজোও তুমি আসবে বলে,
যে গান থেমে গেছে নিঃশব্দ সুরে।
মুছে দাও সেই ছবি,
যে ছবি ফুটে আছে অশ্রুর ক্যানভাসে।
মুছে দাও সেই স্মৃতি,
যে স্মৃতির পাতা ঝরে না কোন কালবৈশাখী ঝড়ে।
যে হাসি দেখা দেয় বারবার ঐ দূরের আকাশে,
যে কথা বলা হয়নি কভু, আজও রয়ে গেছে
স্মৃতির কোনো এক অশ্রুসিক্ত পাতায়।
মুছে দাও, মুছে দাও সেই স্মৃতি মোর
মুছে দাও।
মুছে দাও সেই দিন,
যে দিনের রোদ পুড়িয়েছে মন নীরবে-নিভৃতে।
সেই রাতও মুছে দাও,
যে রাতে আমি বুকের ব্যথায় উদাসীন হয়ে
আকাশপানে চেয়েছিলাম—তবুও কোনো তারা জ্বলে নি।
মুছে দাও সেই চিঠি,
যে চিঠির অক্ষর লুপ্ত হয়েছে দুচোখের নোনা জলে।
মুছে দাও সেই ছায়া,
যে ছায়া আজও আয়নার ওপারে দেখা দেয়।
যে স্বপ্ন ভেঙে গেছে অচেনা কোনো এক ঘুমে—
মুছে দাও, মুছে দাও সেই স্মৃতি মোর
মুছে দাও।
মুছে দাও সেই মায়াভরা মুখখানি,
যে মুখের রেখা এখনো মিশে আছে হৃদয়ের অতল গভীরে।
মুছে দাও সেই ক্ষত,
যে ক্ষতের নুন জ্বালায় অদৃশ্য আগুন,
যে ব্যথার শিকড় ছড়িয়ে আছে অস্থিমজ্জায়।
যে শূন্যতা ডাকে পুরনো ঠিকানায়,
মুছে দাও সেই পথের ঠিকানা,
যে পথের শেষে কেবলই ফাঁকা হাত।
মুছে দাও সেই স্মৃতি,
যে স্মৃতির শিকলে টেনে নামায় অন্ধকার,
যে অতীতের গান ভেসে বেড়ায় রক্তে।
যে আত্মা, তাকে পাওয়ার লোভে
আজও সময়কে ফাঁকি দিতে চায়—
মুছে দাও, মুছে ফেল এই মরণজয়ের আগে।
একটি শুকনো পাতার মতো ঝরে যাক সে...