কে ওখানটায় কে?
তুমি কে হে—
অমন মোর দুয়ার আগলায় দাঁড়িয়ে আছো?
আমার থেকেই বা কি চাও?
এমন নিস্তব্ধতা গিলে খাওয়া চোখে
ফ্যালফ্যালিয়ে তাকিয়ে আছো...
আমার তো কাউকে দেবার মতন
আর কিছুই অবশিষ্ট নেই,
তবু কেন এই অপেক্ষা, এই নীরবতা?
কি হলো? কোন উত্তর দিচ্ছ না যে—
ফিরে যাও, আমাকে খানিক একলা ছেড়ে দাও।
অযথাই সময় নষ্ট করো না,
যাও... চলে যাও বলছি,
আমি তোমাকে চিনি না।
তুমিই বলো— এর আগে কি কখনো
আমাদের কোথাও সাক্ষাৎ হয়েছিল?
না... হয়নি। কখনো কোথাও কোনদিন না!
তবু কেন এখনো দাঁড়িয়ে আছো?
যাও, ফিরে যাও!
বললাম তো, আমি তোমাকে চিনি না...
দাঁড়াও!
একটু থামো, দেখো তো—
এখন চিনতে পারো কিনা?
তুমি?
হ্যাঁ, আমি। তোমাকে নিতে এসেছি।
তোমার জীবনের অপ্রিয় চরম সত্যি...
কিন্তু,
আমার তো এখনো যাবার সময় হয়নি!
জানো না— এখনো এই পৃথিবীতে
আমার কত কাজ বাকি!
কত ধার-দেনা, পাওনা-হিসাব
চুকাবো বলে টালি খাতাটা তুলে রেখেছি।
আজও, কত প্রশ্নের উত্তর এখনো খোঁজা হয়নি!
ফিরে যাও,
আমি আজ যেতে পারবো না...
**এদিকটায় তাকাও দেখো—**
তোমার আর কোন কাজ বাকি নেই,
কোন হিসাব চুকানোর নেই আর...
যে কোন উত্তর খুঁজবে, সে ভাবনাও তো অবশিষ্ট নেই!
**তুমি ফুরিয়ে গেছো,**
পরিপূর্ণ করে ফেলেছে আয়ুর ফাঁকা থলে...
এখন তুমি তোমার জীবনের শেষ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে।
**এভাবে অবশ্য সকলে**
তোমার মত আমাকে অস্বীকার করতে চায়,
আমার থেকে দূরে পালাতে চায়,
সময়কে ফাঁকি দিতে চায়...
তুমিও তার ব্যতিক্রম নও।
তবুও এমনি করেই সবাই যাবে,
যেতে হবে... যেতে হবে।