তোমারে হারাইয়া বেল অবেলায়,
সমে দমে বারবার—
আবার ক্ষণেক্ষণে মনে করা,
এ যেন এক অন্য রকম সুখ,
নতুন অনুভূতি।
তোমারে পাইয়া গেলে সব পাইতাম ঠিকি,
কিন্তু না পাওয়ার আক্ষেপ আর বুঝতাম কই?
দুচোখের সামনে যখন বারবার,
কারণে-অকারণে ঘুরঘুর করতে,
হয়তো তখন না জাইনাই বিরক্ত—
আমারে পাইয়া বসত এত এত ভালোবাসা,
আর জন্মাইতো না।
তুমি যদি একান্তই আমার হইয়া যাইতা তয়,
এই পূর্ণিমার চাঁদ, নিঝুম রাত্রির তারা,
মন্টুর দোকানের চা—
আমারে পাইতো কই?
তুমি যখন সারাক্ষণ আমার লগে লগে থাকতা,
হয়তো স্মৃতির পাতা শূন্য হইয়া যাইতে পারতো,
এমনকরে নিউরনের গলিপথে তোমার আর ঠাঁই হইতো না।
তোমারে যদি অতি সহজে পাইয়া যাইতাম তয়,
না পাওয়ার আফসোস—
মানুষ রে যে বাঁচতে শেখায়, তা আর জানা হইতো না।
তোমার সৌন্দর্য কাছ থেকে দেইখা ফেললে,
হয়তো প্রকৃতির সৌন্দর্য একটু খুঁতখুঁতে লাগতো।
তোমারে মনে কইরা প্রহর কাটানো,
এ যেন এক অন্য রকম সুখ।
তোমার কথার মধু যখন অনবরত কানে বাজত,
তখন হয়তো এতো এতো বিরহের সুর আর শোনা হইতো না।
তোমারে না পাইয়া আমি আসলেই এক অন্য রকম সুখে আছি—
না পাওয়ার সুখ, কিন্তু পাওয়ার সুখের মতন না,
এ যেন এক অন্য রকম সুখ।
তোমারে ভুলবার লাগি দিনেরাতে কতো বৃথা চেষ্টা করলাম,
তোমার এক গাদা স্মৃতি ভুলতে আর দিল কই—
"আমি আমারে ভুইলা গেছি ঠিকি",
কিন্তু অহনো তোমারে ভুলতে পারি নাই।
তুমিই আমার সুখ...
এ যেন এক অন্য রকম সুখ।