উৎসর্গ ঃ প্রিয় কোন একজন।।।।


ঘুম কাড়ানো কিছু স্মৃতি আজ মনে পড়ে গেলো,
কারো পরশ অনুভূতি কিছু কথা বার বার সাড়া দিলো।


কি করি উপায় মনতো আমার কাছে বাধা নয় আর,
যেভাবে চাইবো ভালোবাসবে বললেই সাধ্য ভুলিবার।


সেই প্রথম দিন বেশি মনে পড়ে যখন তাকে দেখেছিলাম,
সে দাড়িয়ে ছিল পুকুরপাড় আমি এই রাস্তা ধরে যাচ্ছিলাম।


পড়নে ছিলো লাল খেয়ারী শাড়ি হাতে রেশমি চুরি,
ঠোঁটে ছিল মায়ায় ছাপ কপালে লাল টিপ খুবই সুন্দরী।


হাতে তার মেহেদী মাখা কাজলনয়ন মিষ্টি মুখে হাসি,
অপরূপ তার দেহের গঠন যা লিখলেও হবে না বেশি।


হেটে যাচ্ছিলো কোন অজানায় জানা ছিলো না কিছু,
প্রেমিক হয়ে ছুটে ছিলাম সেদিন তার আশে পিছু পিছু।


অনেক দুরও গিয়েছিলাম হায়রে পোড়া কপাল মন্দ,
হারিয়েছি তারে কোন পথে খুঁজে পাইনি সুবাস গন্ধ।


এভাবে তার বিরহে কাটে কিছু কাল যেমন তেমন,
আবার একদিন দেখতে পেলাম মেয়ে একটি তেমন!


আরে না মতো নয় এতো সত্যি  সেই স্বপ্নের রাজকন্যা,
যার দেখা পেতে পথ হেটে হারিয়েছি নিজের ঠিকানা।


নাম কি তার কোথায় তার বাড়ি কি হবে পিতৃপরিচয়,
ভালোবাসি বলবো কি না ভাবতেই মনে আসে কত ভয়।


অবশেষে যখন তারে বলি মনের কথা সামনে  এসে,
মিষ্ট হেসে বলে মেয়ে দুঃখিত অন্যের গলে আছি ফেঁসে।


কথাটা শুনে খুব খারাপ লাগলেও নিজেকে সামলিয়েছি,
ভালোবাসা বলতে নেই কিছু পৃথিবীতে বিশ্বাস করেছি।


প্রতিদিন তার দেখা হতো হতো অনেক কিছু বলা,
ধীরে ধীরে জানতে পারলাম বাবার বন্ধুর মেয়ে
নিলা।


তার বিয়ে ঠিক হয়েছে আমার বাবার ছেলের সাথে,
এ শুনে খুব খুশি হবো কি চাঁদ পেয়েছি বুঝি হাতে।


আরে আমার বাবার আমি একমাত্র সন্তান ধরায়,
তাইলে এত কষ্ট কেন করলাম বোকা আমি হাত
মাথায়।


মেয়েটিকে আর কিছু বলিনি শুধু অপেক্ষাতে আছি,
এভাবে বিয়ের দিন ঘনিয়ে এলো হচ্ছি যেন কত পাঁজি।


হলুদ সন্ধা গেল তার পরে বিয়ের দিন কত খুশির ঝাক,
কলমা পড়তে যখন এক সাথে হই দুজন সেতো পুরো অবাক।


বিয়ের যত রীতিনীতি সব শেষে যখন বাড়ি ফিরি,
গাড়িতেই আমার সাথে ঝগড়া শুরু কি অগ্নিগিরি।


শুরু হলো সংসার জীবন কাটলো এতোটা বছর,
যে থাকতো না আমায় ছাড়া গৃহে সে শুয়ে আছে কবর।


সুঃখে দুঃখে কাটানো দিন আজ পড়ছে বেশি মনে,
জানি যা হারিয়েছি অতীত পাবো না ফিরে কোন ক্ষনে।


চোখে ভাসে তার পথে চেয়ে থাকা কখন ফিরবে?
দেরি হলে কভু অভিমানে মুখ লাল করে থাকবে।


কাজের ফাঁকে আসতাম ছুঁটে দেখতে তার মুখখানি,
শত কষ্ট ভুলে যেতাম আচল যখন হতো ঘামের মুছুনি।


বাপের বাড়ি গিয়ে থাকতে পারতো না আমাকে ছেড়ে,
আজ সেই বেইমান একা শুয়ে আছে আমায় নিঃস্ব করে।


আমার মুখে আহার না পরলে যার মিটতো না ক্ষুদা,
সেই মানুষ দেখে বা বুঝি আমি অসহায় এক মুর্দা।


চিরোজীবন পাশে থাকবে বলে কথা দিয়ে রাখেনি সে,
আর কত দিন যাবো চলে তার কাছে ভালোবেসে।


খুব মনে পড়ছে স্মৃতিগুলো যা কাটিয়েছি একসাথে,
কষ্ট লাগে মনে হলে তুমি সুঃখের ঘুমে তাই কি আসে তাতে।


দোয়া করি বিধাতার তরে যেন তোমার আমার মিলনে,
আরেক স্মৃতিপট সৃষ্টি হয় যা অমর হয়ে রবে ভূবনে।