নীল আকাশের মাঝে হাসে
সাদা মেঘের ভেলা।
মেঘের ফাঁকে ঝিলমিলে ঐ
কাঁচা রোদের খেলা।


শ্যামল গায়ের নদীর তীরে
পথটি গেছে বেঁকে।
গহীন বনে মন ভোলায় রে
সুরের পাখি ডেকে।


কাশ বনের মাতাল হাওয়া
হৃদ মাঝারে দেয় যে দোলা।
প্রকৃতির এমন সাজে
আমি হায় পথ যে ভোলা।


পথের ধারে বুনো লতা
দেখতে দারুণ বেশ।
কে জানে রে কোথায় গিয়ে
এই পথের ই শেষ।


সবুজ-শ্যামল রূপের মাঝে
দুলছে সোনার ধান।
খানিক বাদেই নামবে যেন
উপচে পরা বান।


একটু বাদেই মুখ ঘুরিয়ে
তাকিয়ে দেখি দুরে।
কৃষকেরা ধান কাটছে
ভাটিয়ালি র সুরে।


কেউবা আবার নায়ে র মাঝে
সাজিয়ে থরে-থরেবিথরে।
মনের সুখে বাড়ি নিয়ে
তুলছে আপন ঘরে।


ডাকছে বাবা আয়রে খোকা
পাটের গাছে দিতে জাঁক।
আখের রসে মিঠাই হবে
উনুন পারে উঠছে পাঁক।


বইছে বেলা তাড়াতাড়ি
নাও নিয়ে আয় ঘাটে।
ফল-ফলা দি সবজি নিয়ে
বেচবো গায়ের হাটে।


সাঁজ পেরু লো রাত্রি হলো
হাটে র এলো শেষ ধারে।
আজ কি মোরা হাট থেকে আর
বাড়ির পানে ফিরবো নারে?


রাতের বেলা গহীন পথের
ঝাঁক জোনাকির আলো।
নিঝুম পথের ভয় কাটিয়ে
মন করে দেয় ভালো।


ভূ বন জুড়ে এমন রূপ
আছে বলো কোথায়?
আছে শুধু সকল রূপের
রাণী আছে যেথায়।


বিশ্ব জুড়ে কোথাও
তুমি খুঁজে পাবে না।
সকল রূপের রানী সে তো
আমার বাংলা মা।