দূর হতেই মনে হয়েছিল বিশালাক্ষী ;
যাতে আষ্টেপৃষ্ঠে নিবব্ধ ছিল দু নয়ন-
ভেবেছিলাম সে নিছক দেবী,
সে ছিল রক্তেমাংসে গড়া দুঃখবিলাসী একজন!


কাছে আসার অবসর ছাড়িয়েছি জট,
সুখের নিমিত্ত ছেড়েছে অন্য তটিনীর তট!
সে এক আকাশ চ্যুত নক্ষত্র-
হৃদয় যেন তার এক সাগর বিস্তৃত কুরুক্ষেত্র!


রাশি রাশি শুভ্র তুলো মেঘ-
মিলিয়েছে প্রকৃতির সাদা কাঁশে,
তোমার রঙে আজন্ম প্রেমিক আমি;
তোমার শুভ্রতার স্রোত আমার নিঃশ্বাসে।


অনন্ত বসন্ত কেঁটে যাবে,
সম্মোহনী সে রং ছোঁয়ায়,
কুলহারা হলে পাড়ি দিব-
নষ্ট শ্রেণীর মত আবছা ধোঁয়ায়!


বিচ্ছেদের পরে কিংবা তোমাকে না পেয়ে সে;
বুকের গভীরে খুব করে যেমন রাখে-
ঠাঁই পেয়েছো কি সেই বুকেতে?
তুমি চেয়েছো যাকে!


কোন কালবেলা কিংবা কোন রিক্ত প্রহরে,
সে রং যদি ঝড়ে,
জেনে নিও,আমি আকাশচ্যুত নক্ষত্র -
নক্ষত্র রাও তো মরে!