দেবী,
তুমি পদ্মের সৌন্দর্যসম্ভোগ করো;
গোলাপের সুগন্ধে বিমোহিত হও-
জানি তাদের কণ্টকশয্যা চোখ এড়িয়েছে!
বুঝতে চেয়েছ কি প্রেমিকের ক্ষত?
দেখেছ কেবলি তাদের সৌন্দর্য,ভালবাসা আছে যত!


দেবী,
একগুচ্ছ নীল গোলাপ রইলো তব দ্বারে,
আমার নামটি লিখ তব উত্তল পারাবারে!


দেবী,
তবে এই শুভ দৃষ্টি হোক চিরায়ত-
তারা ফুঁটুক তোমার ঠোঁটে।
মুগ্ধতার রেশ আমার থাকুক;
যেমন বসন্তবনে নব পল্লব-পুষ্প ফোঁটে!


দেবী,
তুমি যদি দূরেই থাকো,
নিরস,বিষণ্ণ,বিরহ-বিলাস সারা বেলা।
নিখাদ জড় শুনশান স্তব্ধ আমার পৃথিবী-
যেন অমনিশার কাল স্রোত,ঘোর মৃত্যুর খেলা!


বামপাশের পোড়া কোঠরে তোমার বসবাস,
অন্য শহরে বিরাজ তব,তবুও তোমারে পাবার আঁশ।
স্বয়ং তুমি না আসিলে কে পারে হৃদয়ে রাখিতে,
কি দিয়ে অর্ঘ্যপাত্র সাজাইলে দেবী?
তোমারে পাইবো আঁখিতে আঁখিতে-


দেবী,
তুমি অনির্বার আকর্ষী-
তুমি অজস্র পুরুষের ক্রন্দন;
তুমি নিশ্চিত ধংশ,ঘোর মোহ,
দেবী,তুমি আমার হৃদ-স্পন্দন!