নিশীথিনী বলেছিলো অভিমানের স্বরে-
কোন এক শ্রাবণের ঝড়ঝড়ো প্রাতে,
ভুলে গেছো মোরে?
কথা বলো না আমার সাথে!
আমি বললাম হেসে,
কথা না হলেই বুঝি ভুলে যাওয়া হয়?
যোগাযোগ থামলেই কি ভালবাসা থেমে যায়?


নিশীথিনী,
খুব সন্তর্পণে অনুভব করা কিংবা;
দূর হতে ভালবেসে যাওয়া প্রেমিকের নীরব আর্তনাদ কি তোমার কানে পৌঁছায় না?
অতঃপর কিছুকাল তোমার চঞ্চলতা আর কলকলানি তে কাঁটলো।
আবার নীরব অভিমানে দিলে ডুব;
আমায় করে নিশিথের বটের মত নিশ্চুপ!

আচ্ছা নিশীথিনী,
তোমার জন্য যে আমার অঝোর শ্রাবণধারা,
সে জল কি একটিবারও তোমায় স্পর্শ করেনা?
খুব করে যে প্রতিবেলার প্রার্থনায় তোমাকে চেয়ে যাই,
তা কি তোমার দুয়ারে পৌছায় না?
তুমি তো নিশীথিনী!
থেকে যাও নিশিতের মত চুপ,
আমি না হয় তোমার জন্য -
খুঁড়তে থাকব স্বীয় মৃত্যকুপ!


মন আকাশে উদয় হয়নি প্রণয় রবি,
তবুও আর সমস্ত ভাবনা,অস্তিত্ব জুড়ে শুধু তুমি!
আমার গল্পের নায়িকা তুমি,
তুমি ই আমার নিরন্তর রং তুলির আচঁড়-
আমার কবিতার প্রতিচ্ছবি!
তোমারেই এঁকে লিখে ভেবে চলি সকাল,দুপুর,সাঁঝে;
শ্রাবণের হৃদয়ে  আজ বসন্ত বিলাস বাজে।


কোনো ক্ষণে যদি মনে পড়ে মোরে,
এসো নিশিথীনি,আমার কথিত তোমার শহরে!