সেই বজ্রকন্ঠ,সেই অমর বানী,
ঘোর অমিনশার প্রহর শেষে;
উঠলো হেসে বহুল সাধিত স্বাধীনতা-
স্বপ্নের বাংলার আকাশে!


৪৮,৫২,৫৪,৫৮,৬২,৬৬,৬৮,৬৯ কিংবা ৭১
প্রতিটা সালের আন্দোলন ই আপনি,
প্রতিটা জয়ের কারিগর তুঁমি;
তোঁমার কারণে পেলাম এই পুণ্য বঙ্গভূমি!


মহাযুদ্ধ আর অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে-
যখন মিলল একটু অবসর,
তখন ই এলো কাছের লুকায়িত শত্রু,
ধ্বংস করতে বাংলা আবার!


গ্রীষ্মের এক সাধারন মধ্যরাত;
নরপিশাচেরা করলো মিরজাফরীয় হত্যা।
সহপরিবারেই মরলো সকল সূর্যসন্তান,
ক্ষণিক থামলো বাঙালীর স্বত্তা!


শেষকৃত্য টাও অবহেলায় ঘটলো,
এমন ই দুর্ভাগ্য এ মহাপুরুষের।
তাতে কি আসে যায় সুরবীরের-
তাঁর হৃদয় ই তো বাংলাদেশের!


দেখুন হে শ্রেষ্ঠসন্তান;
আপনার দেখানো পথে আজ সোনার বাংলা,
চালক আপনার উত্তরসূরি সুযোগ্য কন্যা-
চতুর্দিকে বাংলার জয়,উন্নয়নের বন্যা!


আজ বাংলার মুক্ত আকাশে;
আপনার জয়ধ্বনি,আপনার ই গান-
আপনি বেঁচে থাকবেন কোটিপ্রানে,
আপনিই বাংলার প্রাণ।


তবুও যেন আপনি ছাড়া অপূর্ণ বাংলা।
নাটাই ছাড়া দেশ যেন ঘুড়ি,
আপনার শোকে শোকাহত আমরা-
তব বিদায়ে সদা শোকানলে পুড়ি!


হে বাংলার রুপকার,হে মহাপুরুষ-
মহাপ্রয়াণে লহ অধমের সালাম।
আপনি ই আমার আরাধ্য দেবতা-
তোঁমাকে বারংবার প্রণাম!