যে আমি মুখর ছিলাম
তোমার ভালবাসায় পূর্ণ থেকে অনুক্ষণ
সেই আমি মৌন রহি বাস্তবতার খোলসের নিস্তব্ধতায়;
আমার বিস্মিত আঁখি এখন শান্ত, নিরব থাকে।


যে আমি চঞ্চল ছিলাম
দখিন হাওয়ায় তোমার অবাধ্য চুলের মত
সেই আমি আজ মৃদু সমীর প্রবাহ, শব্দ বিহীন;
বাঁধা নিয়মে শান্ত সলিলের মত বহমান--


হঠাৎ আকাশের কোন এক নক্ষত্র ছুটে গেলে,
যে আঁখি জ্বল জ্বল করে উঠতো একদিন--
সেই আঁখি জলে ভরে ওঠে,
একটি নক্ষত্রের অকাল মৃত্যু ভেবে।


বিরাজমান ঘটনার ভিন্ন রূপ প্রকাশিত হয়
সময়ের ব্যবধানে জীবনের প্রকারন্তরে
অথবা, মনের বিক্ষিপ্ততায় বিচিত্র ভাবাবেগে।


যে আমি তোমার কাজল নয়নে করেছি আবিষ্কার
সমগ্র পৃথিবী আমার সপ্ত সুরের মূর্ছনায়,
বর্ণিল আভায় আপনারে পেয়েছি খুঁজে-
সেই আমি বিভীষিকাময় বিদঘুটে তিমির আনি
আমার উপলব্ধিতে, কল্পিত দৃষ্টিতে।


নিঠুর নির্মম সময়ের কষাঘাতে
উষ্ণ সুখের স্নিগ্ধতা উবে যায় কর্পুরের মত;
দণ্ডায়মান থাকি আপন অস্তিত্বের সমাধি পরে
নিজের জন্য বাঁচি না, বাঁচি কর্তব্য নির্বাহ করে।