এই যে জীবন দেখছো তুমি
দুঃখ কষ্টে ভরা;
তাইতো কেঁদে চোখের জলে
হচ্ছো তুমি সারা!
এর বাইরেও জগত আছে
তায় দেখছো না কেন?
সব আঁধারেই আলো আছে
হায় খুঁজছো না কেন?
তারিফ পেয়ে অহংকারে
যেও নাকো ভেসে,
নিন্দাতে হায় কভু তুমি
প'ড়ো নাকো ভেঙে।
ধীর্-স্বভাব হও দুঃখ শোকে
শান্ত হৃদয় নিয়ে -
অতি তারিফ সামাল দিয়ো
শান্ত চোখে চেয়ে।
তোমার চেয়ে সুখী যেজন
তারেই দেখো কেন?
তোমার চেয়েও দুখী আছে
তারে ভোলো কেন?
তুমি থাকো তোমার মতো
হৃদয় বড়ো ক'রে
তোমার মনের নীলে যেন
সকল পাখি ওড়ে।
অন্তর করো ফুলের বাগান
হাজার ফুলের মেলা-
সকল লোকে আসুক হেথা
জুড়িয়ে যাক্ জ্বালা।
জীবন করো নদীর মতো
বয়ে চলুক সদা
যতই কলুষ গায়ে লাগুক
ধুয়ে করো সাদা।
সব মানুষের কষ্ট থাকে
আপন আপন কিছু
তা বলে কি কাঁদবে শুধু
মাথা করবে নিচু?
চেয়ে দেখো চারিদিকে
কত হাসির বাহার
হেসেই তারা উড়িয়ে দিলো
হাজার দুখের পাহাড়।
দিনের শেষে ধূলায় ধূলায়
ঢাকে ঘাসের শরীর
ভোর বেলাতে হাসে কেমন
ঘাসের ডগায় শিশির।
সন্ধ্যা আকাশ মেঘে ঢাকা
মুখটি করে ভার
একটু বাদেই তারায় তারায়
শরীর ভরা তার।
রাতের আঁধার মিলিয়ে দেয়
দিনের আলোর রেখা
সকাল বেলায় হাস্যমুখে
দেয় যে রবি দেখা।
চাতক কাঁদে বারির আশে
চেয়ে গগন পানে
বিজলী মেয়ে মেঘেদের তাই
ডেকে ডেকে আনে।
হয়তো তোমার দীর্ঘ অতি
দুখের কালো রাতি
তবু এরও শেষ যে হবে
জ্বলবে প্রদীপ ভাতি।
দুঃখ যেমন আসে ছুটে
সুখের দিনও আসে
এরই মাঝে বাঁচি আমরা
জীবন ভালবেসে।