যখন রাত্রি খুব গভীর, চারদিক স্তব্ধ হয়ে আসে
সমস্ত দিনের সমস্ত কোলাহল থেমে যায়,
অন্ধকার ঘরের শূন্য কামরায় আমি একা জেগে;
তখন ফেলে আসা দিনের মরচে পড়া স্মৃতিরা
সহসা সমস্ত অঙ্গে সাড়া দিয়ে জীবন্ত হয়ে ওঠে,
মস্তিষ্কের জাগ্রত নিউরনগুলো প্রবল বেগে ছুটে-
প্রতিটি ইন্দ্রিয়কে সতেজ-সজাগ করে তোলে;
আমার দিব্য কর্ণ খুলে যায়, আমি শুনতে পাই
পুরানো দিনের কথা, হাসি, মান-অভিমানের ভাষা,
শুনতে পাই আমি, স্পষ্টই শুনতে পাই প্রতিটি শব্দ।
আমার ওষ্ঠ-অধরের মাঝে সুতা পরিমাণ দূরত্ব হয় না;
তবুও আমি প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দেই,
উত্তরের প্রতিত্তোর করি- কখনো শান্তভাবে,
সাবলীলভাবে কখনো প্রবল উত্তেজনায়-
উত্তপ্ত বাক্যবাণে করি জর্জরিত, ভীষণ উগ্রতা!
আমি আমার প্রতিটি উচ্চারিত শান্ত শব্দের ধ্বনি
যেমন শুনি তদ্রূপ কর্কশ গলার স্বরও শুনি পরিষ্কার।
রাতের পর রাত এই আলাপচারিতা আমার
একাকিত্বকে বাঁচিয়ে রাখে, আমার নিঃসঙ্গতাকে
দেয় পরিপূর্ণ সঙ্গ, এ আমার একা জীবনের সঙ্গী।