নব প্রভাতের প্রদীপের শিখা হলোনা উদয় পুবে
কাজল মেঘের নিবিড় ছায়া ঢেকেছে আকাশ যবে।
বুঝি সারাদিন রবি কর আর পৌঁছবে না এই পাড়ে
এমনি আঁধার ঢেকে রবে সব ব্যস্ত জীবন জুড়ে।
আঁধার যেমন কালোর পশরা সাজিয়ে রেখেছে ভবে
তেমন কালোর কলঙ্কে ভরা জীবন মোদের হবে।
ভাবছো এ বুঝি অভিশাপ মোর বিশ্বলোকের তরে,
শাপ অভিশাপ মানি নাকো আমি সত্য বলছি ওরে!
শোনো তবে আজ মনের কথন অন্তরে ব্যথা লাগে
হৃদয় - কমল পুড়ে ছারখার গাত্র দহে যে রাগে।
যখনই দেখি আমারই মাতা, ভগিনী - জায়া পথে
জ্বলে মরে বাঁচে কিছু শকুনের কামুক অগ্নি হতে।
যেই নারী মোরে জীবন দিয়েছে বাঁচায়ে রেখেছে প্রাণ;
যেই নারী দিল মুখে বুলি মোর, মানুষ করিতে জান।
প্রতি ঘরে ঘরে যেজন জ্বালায় সুখের স্বপন বাতি
যেজন ফোঁটায় আশার প্রসূন, ঘোচায় দুখের রাতি।
যেজন শেখায় প্রেমেরই পাঠ আপন করতে পর
সব জ্বালাতন সইলো যেজন সকল জীবন ভর।
যেই নারী করে এতখানি ত্যাগ করতে সুখের দান
তারে যদি করো এত অপমান সইবে কি ভগবান!
তাইতো এবারে তমসা ঘনাবে বিশ্বমাতার কোলে
তপন লুকাবে চিরদিন তরে উদিবে না কোন কালে।
যেই নারী হয় বিজয়লক্ষ্মী তিলক কপালে আঁকে,
যার চরণের পরশে সোনার শস্য গোলায় রাখে।
মোমের মতন আপনারে দহে যেজন দেয় গো আলো;
সেই নারী পারে শুষে নিতে সব পাপীষ্ঠদের কালো।
যেই নারী হয় ক্ষমার মূর্তি, সিক্ত অশ্রু জলে ;
তারই চরণে জোড় হাত করো ক্ষমা যদি তাতে মেলে।
নচেৎ জানিও বিনাশ সাগরে হাবুডুবু আজ খাবে
কান্নার রোল যতই তুলবে নিস্তার নাহি পাবে।