নির্ঘুম রাত কাটে জানালায় চোখ রেখে
পাষাণে গড়া শহর শান্ত দাঁড়িয়ে থাকে
চন্দ্রমুখীর মতো লোলুপ ঊর্ধ্বমুখে
রূপোলি চাঁদের আলো নিরবে গাঁয়ে মাখে।
আমিও খানিক হই লোভাতুর ছোঁয়া পেতে
গ্রীলে মুখ রেখে মুঠো খুলে রাখি হাত পেতে।
দূরে ওই বুড়ো বট একাকী দাঁড়ায়ে ঠায়
আলো আঁধারের সাথী পথের উপরে হায়
কত যুগ ধরে সেও মাখে শশীকরশোভা
কত না রজনী কাটে প্রেমালাপে মনলোভা।
নিশীথ আকাশে আজ প্রেমের কবিতা লিখে
প্রেমপরশ বিলাবো শহরের দিকে দিকে।
নিজের আড়ালে কত শীতলতা রাখি ধরে
চন্দ্রালোকের মত পারি কি ছড়াতে তারে?
নিতিদিন কত শত পাষাণ পরাণ হায়
আমার একটু ছোঁয়া লেগে ভেঙে যেতে চায়
আমি কি পেরেছি তারে ছুঁতে মনে' অজান্তে?
দুখের আগল খুলে পারিনি তারে জানতে
বলিনি কখনো এসো হে সুখের সীমান্তে
তবে বলবো এবেলা জীবনের এ প্রান্তে
বিনা কোন প্রতিদানে যতটুকু আভা আছে
দেব তারে নিঃশেষে প্রাণের বিলাপ মুছে।