অরবিন্দ:
সুনন্দিতা চলে যাচ্ছো কি? আজ কেন এতো তাড়াতাড়ি! কাজ আছে বুঝি নাকি রাগ করে যাচ্ছো চলে?
চলে যাচ্ছো সত্যি সত্যি।


সুনন্দিতা:
অরিন্দম মজা নিচ্ছো বুঝি? নিতে থাকো এখনতো তোমার দিন; নিতে থাকো সমস্যা নেই, কাজ আছে তাই যাচ্ছি, কাজ করেই যে খেতে হয়।


অরিন্দম:
আমি মজা নিচ্ছি তাই মনে হচ্ছে সুনন্দিতা! কতদিন পর এলে অথচ তাড়াহুড়া করেই যাচ্ছো আর একটু থেকে যেতে পারতে, অপেক্ষায় থেকেছি অনেকদিন তুমি নেই তাই।


সুনন্দিতা:
অরিন্দম তুমি একটা পাগল আর এই পাগলকে নিয়েই আমার চলতে হয়! আসলে ব্যস্ততা আমার আছে আর সেটা তোমারও বুঝতে হবে; কি করবো বলো কোন দিক দিয়ে যে দিনগুলো শেষ হয় বুঝ উঠতে পারিনা, এটাই জীবন এভাবে চলতে হয় চলে যায় জীবন।


অরিন্দম:
হয়তো ঠিক বলছো ইইতো জীবন কত স্বপ্ন কত দিন গোনা তবুও অপেক্ষা আর স্বপ্ন দেখা যেমন তুমি আমায় স্বপ্ন দেখাও, আমিও সেই স্বপ্নের পথ ধরে চলি ভালোবাসা এমনিই যা তুমিই শিখিয়ে ছিলে।


সুনন্দিতা:
রাখো আর বলতে হবেনা অনেক বলেছো এবার থামো, মিছে কেন এতো রাগ করো বলোতো অরিন্দম? রাগ কিন্তু আমারও আছে দেখাবো নাকি বলো?
কি চুপসে গেলে বুঝি! হা হা হা।


অরিন্দম:
সুনন্দিতা তুমি হাসলে কিন্তু অসাধারণ লাগে সত্যি বলছি, মুগ্ধতা জড়ানো সেই হাসি মুগ্ধ হই বারবার,
সুনন্দিতা আমি কি কখনো কোনদিন তোমার উপর রাগ করেছি, তবে হ্যাঁ অনুযোগ করেছি সেটা কিন্তু আমার অধিকার কি ঠিক বলেছিতো; তোমাকে আমি ভীষণ মিস করি প্রতিমুহূর্তে।


সুনন্দিতা:
অরিন্দম অনেক হয়েছে এবার থামো! আমায় যেতে হবে জরুরি কিছু কাজ আছে পরে আবার আসবো, তুমি ভালো থাকবে নিজের প্রতি যত্ন নিও, আমি আবার কাল আসবো ঠিক সেই জায়গাটায় যেখানে আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল।


অরিন্দম:
চেয়ে থাকে পলকহীন সুনন্দিতা চলে যায় একসময় অদৃশ্য হয়ে যায়, আর শুধু ভাবে সুনন্দিতার বলে যাওয়া কথাগুলো, আবার অপেক্ষা আবার স্বপ্ন দেখা, কাল আবার দেখা হবে অপেক্ষা সেই সময়ের জন্য।