একটা আকাশ চেয়েছিলাম কিংবা বৃষ্টিস্নাত দিন।


প্রথম সূর্যটাকে বড় ভালোবাসতে চেয়েছিলাম কিন্তু সব কি সবার জোটে!


মানুষ হতে গিয়ে নিজেকে মানুষের হিসেব থেকে বাদ দিয়েছি,
নদীর কাছে আশ্রয় নিতে চেয়ে ঠাকুরদার ভিটাবাড়ি বন্দক দিয়েছি ।


বাতাসকে আপন ভেবে ফাগুনের গানে সুর দিতে মিছে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলাম;
বাতাস কী মানুষের কথা শুনে?

সুনন্দিতাকে ইলোরার রঙে সাজাতে গিয়ে কালো রঙে পূর্ণিমা চাঁদে হাত ধরে একটি জীবনের একটা স্বপ্ন দেখতে চেয়েছিলাম!


নীলাঞ্জনা আসবে বলে কতো যে রাত নির্ঘুম কাটিয়ে দিয়েছি তার হিসেব আজ ভাবতে গেলে নিজেকে বড়োই অসহায় মনে হয়;
নীলাঞ্জনা আসেনি
ডাকেনি শুভময় কোন মুহূর্তে।


সবকিছু সবার হবে এটাও একধরণের প্রতারণা যা বুঝতে গিয়ে অসহায় পিতা-মাতাকে শুধুই কষ্ট দিয়েছি।


ভালোবাসা নেই বলে অরিন্দমকে নিজের সাথে রেখে কবির কবিতায় নায়ক বানিয়ে কাঁশফুলের সৌরভ গায়ে মেখেছি কিংবা শিউলী ফুল যার কোন গন্ধ আজও নাকে লেগেছে আছে বলে মনে হয়নি!


সম্পাদনা
................
২৪.০৫.২০২০
লালমনিরহাট।