(সাংস্কৃতিকজন ইন্দ্রাণী চক্রবর্তীকে নিবেদিত)


এসো আজ সুনন্দিতা
বৃষ্টি হয়ে যাই
ভেজাই শরীর প্রশান্তির জলে!
ভিজবে সব ভিজবে সৃষ্টিনাশ
যদিও প্রখর তাপে পুড়ে গেছে সব।


পুড়ে যায় মানুষ
পুড়িয়ে দেয় প্রকৃতি
মৃত্যুকে করে আলিঙ্গন।
উদাসীন হে প্রকৃতি
দেখেও যেন দেখো না।
কষ্টকে জয় করে
আমরা গেয়ে যাই
তোমারই জয়গান
মানবপ্রেমিক হয়ে
রক্ষা কর হে জগৎজননী


রুষ্ট তুমি! কি জানি কি ভেবে;
জগৎজননী কি রেগে থাকতে পারে?
তোমার কি রাগ করা সাজে!
অভিমানে অনুযোগে
হে রুষ্ট প্রকৃতিমাতা
হে জগৎজননী
তাঁকিয়ে দেখো ফেরাও চোখ
একটি বার।


যদি প্রখর তাপে পুড়ে যায় সব
যদি পোড়াও
জ্বালিয়ে সব তবে
এনেছিলে কেন এই ইহ জগতে
কেন তুলে নিলে হে জগৎমাতা
মানুষে মানুষে চিরকল্যাণে
করলে লালনপালন
মৃত্যুকে করে আলিঙ্গন??


যদি তুমি রুষ্ট হয়ে থাকো
যদি সমুদ্রপাড়ে তোমারই পূজায়
রেখে যাও পদচিহ্ন আম্পানে,
সিডরে, বুলবুলে- করোনায়!
তবে তোমার পূজায় আর
কতো দেবো বলিদান
বলতে পার হে প্রকৃতিমাতা?
হে জগতজননী?