চমকে গেলে
বললে চমৎকার
সে ছিল অনন্য
ছিল স্বপ্ন একবুক
আশা ছিল আকাশসম।


চমকে কি লাভ
যদি না তোমাদের ক্ষত চিহ্ন মুছে না যায়।
যদি না স্বীকার করো তোমরা অপরাধী!


রাতকে করেছিল কৃষ্ণপক্ষ
লুকিয়ে ছিলে মেঘের আড়ালে অমানিশা ডুবিয়ে রূপালী চাঁদকে!


হ্যাঁ-
-হ্যাঁ!!
তোমরাই হত্যা করেছিলে
লুকিয়ে থাকা হন্তারকের দল,
প্রিয়তম পিতাকে
হত্যা করেছি তাঁর চির আপন প্রিয়স্বজনকে।


ভেবেছিলে কেউ যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতেই না পারে
এই বাংলায়, বাংলা মায়ের কোলে,
ভীষণ চালাক হে হন্তারক তাই না?
পিতাকে হত্যা করে যদি সব কিছু জয় করতে পারতে
মেনে নিতাম তোমরাই বুদ্ধিমান!


হে বোকা মূর্খের দল
হে অপরাধী
মানুষ মরে গেলেই কি শেষ হয়ে যায় সব!
মুছে যায় অবিনাশী মানবপ্রীতি মানবতা কিংবা আদর্শ?
বড়ো বেশি ভুল করেছো মূর্খের দল!


পিতা নেই তাতে কৃষ্ণপক্ষে ঢেকে দিয়েছিলে বাংলার নীল আকাশটাকে
ফসলি মাঠকে করেছিলে শ্মশান
যেন পুড়ে সব শেষ হয়ে গিয়েছিল;
ভাগ্যাকাশে ছিল তারারা তোমরা হয়তো দেখতেই পাওনি হন্তারকের দল!


সেই তারারা আজ বেড়িয়েছে সমস্ত আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে প্রাণপন আলো
যে আলো পড়েছে মাঠ পেরিয়ে ফসলজমি,
টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া রূপসা থেকে পাথরিয়া
উদ্ভাসিত আজ
আলোয় আলোয় আলোকিত এই বাংলা
আর পিতার প্রিয়তমা বাংলা মা।


হন্তারক তুমি এখনো মুচকি হাসো
যদি সেটাই ভেবে
আবার  কৃষ্ণপক্ষে ঢেকে দেবে সমস্ত আকাশ, সমস্ত বাংলার ফসল ও ফসলি মাঠ
বড়ো বেশি ভুল করবে তোমরা!
এখনো জেগে আছে পিতার সন্তানরা
জেগে আছে রাতজাগা পাখির মতো এই বাংলায় আর বাংলা মায়ের কোলে;
যারা অগ্নিকে হাতে নিয়ে জয় করছে সব বাধা
সাম্যের চির আনন্দে
শুধু গানের সুরে নয়
বিপ্লবে
জ্বালিয়ে তোমাদের  পুড়িয়ে দেবে
শুধুই অপেক্ষা একটা অবিনাশী ডাকের।।